এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১ (১৩ ,১২ ও ১১ তম সপ্তাহ)

১৩তম সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১ | ৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dshe.gov.bd -এর প্রকাশ করা হয়েছে । ২০২০ সালের মত এ বছরও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ২০ মার্চ ২০২১ তারিখ থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। চলুন, অষ্টম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।

৮ম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন সংযুক্ত করা হয়েছে ।

৮ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১

২০ মার্চ ২০২১ তারিখ অর্থাৎ শনিবার হতে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্দিষ্ট কিছু কাজ দেওয়া হবে যা শিক্ষার্থীদের শেষ করে সপ্তাহের শেষের দিক স্কুলে জমা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহ শুরুর ০২ দিন পূর্বে এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেই অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে নতুন এ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা চাইলে Online থেকেও নিতে পারবে আবার স্কুল থেকেও নিতে পারবে।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
  • ১৩ তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ২৫ আগষ্ট ২০২১
  • মোট বিষয় : ২টি
  • পিডিএফ লিংক

বিভিন্ন ডিজাইনের এসাইনমেন্ট কাভার পেইজ (এক্সক্লুসিভ)

১৩তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন

অষ্টম শ্রেণির ১৩ সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হয়েছে । এই সপ্তাহে বাংলা  এ দুটি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে । নিচে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল –

বাংলা এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের বাংলা এসাইনমেন্ট  পাঠ্য বইয়ের পদ্য অংশের ৪র্থ কবিতা “পাছে লোকে কিছু বলে” এর থেকে নেওয়া হয়েছে ।

Screenshot-44

গণিত এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান

১৩ তম সপ্তাহে ৮ম শ্রেণির গণিত অ্যাসাইনমেন্ট এনসিটিবি বইয়ের ৪র্থ অধ্যায় বিজগণিতীয় সুত্রাবলি ও প্রয়োগ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

Screenshot-47

১২তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট

বিজ্ঞান  এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৩য় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মূল বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়: পরমাণুর গঠন থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ :

মৌলের প্রতীক প্রোটন সংখ্যা
X ১৩
Y
Z ১৬

উপরের ছকের মৌলগুলাের ইলেক্ট্রনবিন্যাসের মডেল তৈরি কর। ইলেকট্রন বিন্যাসই পরমানুর কাঠামাে রক্ষা করে’-উপরােক্ত মৌলগুলাের আলােকে এর যৌক্তিকতা নিরূপণ কর।

সংকেত:

ক) মডেল তৈরির জন্য সােলা, কাঠি, রঙ, তার, আঠা ইত্যাদি ব্যবহার।
খ) কাগজে অংকনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে চিত্রের উপাদান গুলােকে উপস্থাপন

কর্মমুখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণির কর্মমুখী শিক্ষা ২য় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়: মেধা, কায়িকশ্রম ও আত্ম-অনুসন্ধান থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ : তােমার ঘরে অব্যবহৃত ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে এমন একটি জিনিস বানাও যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় ও কিভাবে বানিয়েছ তা বর্ণনা কর।

১১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

ইংরেজী

৮ম শ্রেণির ইংরেজী ৪র্থ এসাইনমেন্ট টপিক মূল বইয়ের Unit-3: Health and Hygiene থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন:  Priya lives in a village. Now-a-days, she is confined to the four walls as her school has been closed since 17 March 2020. She became scared when she came to know that a deadly virus named Corona spread all over the world and the Government of Bangladesh requested people to stay at home to stop the spread widely. To maintain personal health and hygiene, people need to eat nutritious food and take regular physical exercise, wash hands frequently and maintain social distance to be safe. However, it makes her sad seeing many people not following the safety rules.
Now, think of the existing worldwide corona pandemic situation. List 10 protective measures and make a poster to stop the spread of coronavirus disease, COVID-19.

উত্তর

Class-8-English-admissionwar-com-1
Class-8-English-admissionwar-com-2

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)

৮ম শ্রেণির আইসিটি ১ম এসাইনমেন্ট টপিক মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়- তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন: “তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক। উন্মােচিত হয়েছে’- উক্তিটির আলােকে একটি প্রতিবেদন লিখ।

________________

১৩/০৮/২০২১
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
—– বিদ্যালয়
উপজেলা—জেলা—
বিষয়: ‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন। সূত্র: আ.ল্যা.স্কু./২০২১/১৩(০৮)

জনাব,
‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য আদিষ্ট হয়ে নিচের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করছি।

                  তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে’

ভূমিকা-  যন্ত্র বা কৌশল ব্যবহার করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়ােজনীয় কাজ সম্পাদন করাই হচ্ছে প্রযুক্তি। প্রতিদিন আমরা নানা কাজে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করি। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত, সহজ এবং আরামদায়ক করেছে। যেমন- বর্তমানে আমাদের মােবাইলের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে। কিন্তু কিছুদিন আগেও আমাদের সকাল বেলা মােরগের ডাক এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গত। জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। যেমন – বাসস্থান, যাতায়াত, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, খেলাধুলা ও বিনােদন ইত্যাদি।

নিম্নে এসব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির এ হার সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দেওয়া হলাে –

১. মােবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
২. মােবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানাে ও গ্রহণ করা যায়।
৩. অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার
প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
৪. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেনের এবং বিমানের
টিকিট কেনা যায়।
৫. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।
৬. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়ােজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশােধ করা যায়।
৭. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকাপয়সা পাঠানাে যায়।
৮. ই-বুক সুবিধা পাওয়া যায়।
৯. অন-লাইনে ক্লাশ করা যায়।

উৎপাদনশীলতা

তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়ােজনেই শিখে নিচ্ছে। প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতাে স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়ােগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিকাশের এ ধারায় দেখা গেছে কিছু
সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, বেশ কিছু কাজের ধারায় পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে।

এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযােগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের
সুযােগ সৃষ্টি হয়। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বিপজ্জনক অনেক কাজ শ্রমিকরা যন্ত্র দিয়ে করায় বিভিন্ন কারখানায় নানা রকম কাজের জন্য রােবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রয়ােগে উৎপাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে
বাঙালি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা (connectivity is productivity) অর্থাৎ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।

দক্ষ কর্মী

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা
ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতাে, স্বয়ংক্রিয়করণ
এবং প্রযুক্তির প্রয়ােগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে
যাবে; কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা গেছে, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ
বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হয়েছে বটে, তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযােগ
সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য কর্মীরা
নিজেদের ক্রমাগত দক্ষ করে নেয়, ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলােতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন
সাধিত হচ্ছে।

নতুন কর্মের খাতসমূহ

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতাে স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়ােগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হলেও অসংখ্য নতুন কাজের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন কর্মের খাতসমূহ উল্লেখ করা হলাে:
১. মােবাইল বিপণন ব্যবসা।
২.মােবাইল কোম্পানিতে কাজের সুযােগ
৩. বিভিন্ন মােবাইল সেবা প্রদান।
৪. মােবাইল ব্যাংকিং।

কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য আইসিটির ভুমিকা

শুধু কর্মসৃজন নয়, কর্মপ্রত্যাশীদের কাজের সুযােগ প্রাপ্তিতেও ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তির বড়
ভূমিকা রয়েছে। আগে যেকোনাে ধরনের নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নােটিশ বাের্ড, বড় বড়
সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হতাে। আইসিটি ও ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেটে জবসাইট নামে নতুন এক ধরনের সেবা চালু হয়েছে। সব জবসাইটে
নিয়ােগকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারে। এ ছাড়া এরূপ কোনাে কোনাে
সাইটে কর্মপত্যাশীরা নিজেদের নিবন্ধন করে রাখতে পারে।

ঘরে বসে আয়

ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাের জন্য ঘরে বসে অন্যদেশের কাজ করে দেওয়ার সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অনেক কাজ যেমন: ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন ভাতার বিল প্রস্তুতকরন ইত্যাদি অন্য দেশের কর্মীর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন।তেমনি কয়েকটি উদাহরণ হলােঃ

  • ইউটিউবিং
  • ফ্রি-ল্যান্সিং
  •  ব্লগিং
  • ওয়ে ডেভেলপিং

উপসংহার – তথ্য যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে শুধুমাত্র আমাদের নিজের জীবনটাকে সহজ
করতে পারি তা নয়, আমরা কিন্তু আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে ফেলতে পারি। জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্য যােগাযােগ প্রযুক্তি শেখার দরজার সবার জন্য খােলা ।তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে পারবাে, ততাে তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব এবং দেশকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারব।

আমার সুপারিশসমূহ

১. বিদ্যালয় এবং প্রান্তিক পর্যায়ে আই সি টির ব্যাবহার ও যথাযথ প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা সহজীকরন;
২. ইন্টারনেট সুবিধা এবং সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরন;
৩. প্রয়ােজনীয় ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মােবাইল ইত্যাদি আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদন করা যাতে সবার কাছে এসব ডিভাইস সহজলভ্য হয়।
৪. আই সি টি বিষয়ক পণ্য সামগ্রী আমদানির ওপর কর/ভ্যাট/শুল্ক আরােপ না করা;
৫. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যু সরবরাহ নিশিচত করন;

প্রতিবেদক এর নাম ও ঠিকানা:
প্রতিবেদনের শিরােনাম:
প্রতিবেদন তৈরির সময়:
প্রতিবেদন রচনার তারিখ:

পরিশিষ্ঠ

  • উইকিপিডিয়া, শিক্ষামুলক ওয়েবসাইট যেমন, কিশাের বাতায়ন, শিক্ষক বাতায়ন, তথ্য বাতায়ন, মুক্তপাঠ ইত্যাদি
  • গ্রন্থ বিবরনীঃ NCTB প্রণীত ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনীর তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির পাঠ্য বই, বাংলা ই-বুক, বেসিক কম্পিউটার বুক, ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন, গুগােল, ইউটিউব, E-book.com.bd, pipilika.com
  • তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর 

বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান

বর্ণনাধর্মী গদ্যে রূপান্তর –

বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি
ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।

‘দুই বিঘা জমি কবিতাটির উক্ত পঙক্তিগুলাে (৪৯-৬২) গদ্যে রূপান্তর।

বাংলা অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান

তােমার প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণের দুটি করে ঘটনা উল্লেখ কর। ব্যাপন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার থেকে যে কোনাে একটির জন্য পরীক্ষণ সম্পন্ন করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে লিখ।

সংকেত:

ক) ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্য

খ) অভিস্রবনের বৈশিষ্ট্য

গ) ব্যাপন ও অভিস্রবণের পরীক্ষণ (ছােলা পানিতে ভেজান, রান্নার গন্ধ ছড়িয়ে পড়া, ফুড কালার পানিতে ছড়িয়ে পড়া এরূপ বিষয় পর্যবেক্ষণ)

বিজ্ঞান অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

৮ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর 

ইংরেজী এসাইনমেন্ট

A delicious dish think about one of your favourite dishes. Talk to one of your family members who knows cooking and note it down. Then prepare the dish . Now narrate the steps how you have prepared the dish.

ইংরেজী অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

চারুকারু কলা এসাইনমেন্ট

সার্বজনীন উৎসব হিসাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য তােমার পরিবার/এলাকায় কী ধরনের উৎসবের আয়ােজন করতে পারবে তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর।

উত্তর:

১) বাংলা নববর্ষকে সার্বজনীন উৎসব বলতে পারি। কারন বাঙালির নববর্ষ এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব। কেননা পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনাে না কোনাে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানাে। দিনে-দিনে পয়লা বৈশাখ হয়ে ওঠে এক সবর্জনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ উৎসব।

ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা ভূখণ্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। কবি দাউদ হায়দার ডয়েচ ভেলের স্প্যানিশ বিভাগের এক সাংবাদিককে, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে বাঙালির কার্নিভাল বলে উল্লেখ করেন। বাঙালির এ কার্নিভালে অসাম্প্রদায়িক দিকটি ফুটে ওঠে। বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাঙালির মধ্যে প্রাণ-সঞ্চারিত হয়। বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। বৈশাখের উৎসব সাহিত্য অঙ্গনেও ঠাঁই করে নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল থেকে হালের কবি সাহিত্যিকগণ বৈশাখ নিয়ে কবিতা-সাহিত্য রচনা করছেন।

বাঙালি ‘হালখাতা’ নামে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে হিসাব শুরু করে। বাংলা নববর্ষে বাংলাদেশে বেচা-কেনায় ছাড় বা বাট্টা দেওয়ার সংস্কৃতি আছে। বাঙালির এ উৎসব অসাধারণ বৈশিষ্ট্যময়। বাংলা নববর্ষের এ ঐতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখানে কোনাে জাতিভেদ ও ধর্মভেদ নেই।  শহর-গ্রামে তরুণ-তরুণীসহ সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন।

সকলে রবীন্দ্রনাথের গানটি গেয়ে ওঠেন, 

“এসাে হে বৈশাখ, এসাে এসাে”

এজন্য বাংলা নববর্ষকে সার্বজনীন উৎসব বলতে পারি

২) বাংলা নববর্ষ যেভাবে উদ্যাপন করা হয়ঃ বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালির প্রাচীনতম ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখের উৎসবের মধ্যদিয়ে এ দেশের মানুষ এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বৈশাখী মেলায় সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের আনাগােনা। মৈত্রী-সম্প্রীতির এক উদার মিলনক্ষেত্র। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশাের সবাই এই মেলায় আসে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিকিকিনির আশা আর বিনােদনের টান। কৃষিক্ষেত্রেও বৈশাখ মাসের গুরুত্ব অনেক। বৃক্ষের ক্ষেত্রেও নব উদ্যমে নতুন জীবন শুরু হয় নতুন পাতা গজিয়ে।

মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সম্রাট আকবর সিংহাসন আরােহনের সময় (৯৬৩ হিজরি) ফসলি সন নামে যে সন প্রবর্তন করেন, তা কালক্রমে বাংলা সন নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন হিজরি সনের ভিত্তিতে এ দেশে বছর গণনা হতাে। হিজরি বছর সৌর বছর থেকে ১১ দিন ছােট হওয়ায় কৃষির হিসাব-নিকাশ এলােমেলাে হয়ে যেত। এতে কৃষকদের ফসলি সন গণনায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে কৃষকের কাছ থেকে জমিদারের খাজনা আদায় করতেও সমস্যা দেখা দেয়। জমিদার ও কৃষকদের সুবিধার্থে, এ সমস্যা দূর করতে মূলত বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই বাংলা নববর্ষের উৎসবের আমেজটা কৃষকের একটু বেশিই থাকে।

তা বৈশাখের প্রথম সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শােভাযাত্রা শুরু হয়। বৈশাখী সাজে নানা বাহারি মুখােশ, শােলার পাখি, টেপা পুতুল হাতে হাতে নিয়ে ঢাক-ঢােল-বাঁশি বাজিয়ে হাজরাে মানুষ অংশ নেন মঙ্গল শােভাযাত্রায়। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে এ মঙ্গল শােভাযাত্রার আয়ােজন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শােভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ নভেম্বর। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ সাবর্জনীন শােভাযাত্রা।

ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সব পেশার, সব শ্রেণির মানুষ শামিল হন মঙ্গল শােভাযাত্রায়। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নিতে আসা নারীদের মাথায় শােভা পায় ফুল, মুখে মুখে আল্পনা, তরুণদের হাতে পতাকাসহ বিভিন্ন আযােজন আমাদের কষ্ট-দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।

৩) বাংলা নববর্ষ খুবই আনন্দমুখর উৎসব। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত ইত্যাদি পণ্য এই মেলায় পাওয়া। যায়। শিশু-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রীসহ এই মেলায় তাদের জন্য আরাে অনেক বিশেষ সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও মিষ্টান্ন যেমন: চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ইত্যাদি এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ।

এ ছাড়া খােলা মাঠের বিশাল পরিসরে ছােটদের খেলনা, হাতে তৈরি বিভিন্ন মৃৎশিল্পের সামগ্রী এবং বিন্নি ধানের খই, মুড়ি, তিলুয়া, কদমা, বাতাসা, জিলাপি, মিষ্টিসহ হরেক রকম খাদ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসতেন ব্যবসায়ীরা। পাওয়া যেত কাঠবাঁশের তৈরি গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে প্রসাধনীসামগ্রী পর্যন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ঐতিহ্য হারাচ্ছে এসব গ্রামীণমেলা। এ ছাড়া রয়েছে হরেক রকমের কুটিরশিল্প আর হস্তশিল্পের বাহারি প্রদর্শনী। মেলায় দেখা মিলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের। এ মেলা বাঙালির আনন্দঘন লােকায়ত সংস্কৃতির ধারক, আবহমান বাংলা ও বাংলাদেশের প্রতিমূর্তি। সময়ের প্রবাহে মােঘল প্রবর্তিত বাংলা নববর্ষের উদযাপন-আযােজনে এসেছে পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলায়।

৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর 

  • ইসলাম শিক্ষা এসাইনমেন্ট

তােমার চাচা প্রতি বছরেই একটি নির্ধারিত সময়ে তার অর্থে হিসাব-নিকাশ করেন। এ বছর হিসাব করে তিনি দেখতে পান যে, তার নগদ উদ্ধৃত্তের পরিমাণ চার লক্ষ টাকা। তিনি শরিয়তের বিধান মতে কীভাবে যাকাত প্রদান করবেন তার উপর এক পরিকল্পনা।

১। যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত ।

স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়। শর্তগুলাে হলাে

সম্পদের উপর পূর্ণ মালিকানাঃ সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য সম্পদের মালিকানা সুনির্দিষ্ট হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ সম্পদ, মালিকের অধিকারে থাকা, সম্পদের উপর অন্যের অধিকার বা মালিকানা না থাকা এবং নিজের ইচ্ছামতাে সম্পদ ভােগ ও ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার থাকা। যেসকল সম্পদের মালিকানা সুসস্পষ্ট নয়, সেসকল সম্পদের কোনাে যাকাত নেই, যেমন: সরকারি মালিকানাধীন সম্পদ। অনুরূপভাবে জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ওয়ফ কৃত সম্পদের উপরেও যাকাত ধার্য হবে না। তবে ওয়াক্‌ফ যদি কোনাে ব্যক্তি বা গােত্রের জন্য হয়, তবে তার উপর যাকাত দিতে হবে।

সম্পদ উৎপাদনক্ষম হওয়াঃ যাকাতের জন্য সম্পদকে অবশ্যই উৎপাদনক্ষম, প্রবৃদ্ধিশীল হতে হবে, অর্থাৎ সম্পদ বৃদ্ধি পাবার যােগ্যতাই যথেষ্ট। যেমন: গরু, মহিষ, ব্যবসাযের মাল, নগদ অর্থ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রীত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি মালামাল বর্ধনশীল। অর্থাৎ এ সকল মালামাল নিজের প্রবৃদ্ধি সাধনে সক্ষম তাই এসবের উপর যাকাত ধার্য হবে।

নিসাব পরিমাণ সম্পদঃ যাকাত ফরয হওয়ার তৃতীয় শর্ত হচ্ছে শরীয়ত নির্ধারিত পরিমান বা তার থেকে বেশী সম্পদ থাকা। সাধারণত ৫২.৫ তােলা রূপা বা ৭.৫ তােলা স্বর্ণ বা উভয়টি মিলে ৫২.৫ তােলা রূপার সমমূল্যের সম্পদ থাকলে সে সম্পদের যাকাত দিতে হয়। বিভিন্ন পশুর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ বিভিন্ন ।

মৌলিক প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ থাকাঃ সারা বছরের মৌলিক প্রয়ােজন মিটিয়ে যে সম্পদ উদ্ধৃত থাকবে, শুধুমাত্র তার উপরই যাকাত ফরয হবে।

এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে উল্লেখ রয়েছে:

লােকজন আপনার নিকট (মুহাম্মদের (স.) নিকট) জানতে চায়, তারা আল্লাহর পথে কী ব্যয় করবে? বলুন, যা প্রয়ােজনের অতিরিক্ত। আল্লাহ এভাবেই তােমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিধান বলে দেন। (সূরা বাকারাহ, আয়াত নং-২১৯)

সাহাবী ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন: – অতিরিক্ত বলতে পরিবারের ব্যয় বহনের পর যা অতিরিক্ত বা অবশিষ্ট থাকে তাকে বুঝায়।

জনাব ইউসুফ আল কারযাভী’র মতে- স্ত্রী, পুত্র, পরিজন, পিতামাতা এবং নিকটাত্মীয়দের ভরণ-পােষণ মৌলিক প্রয়ােজনের অন্তর্ভুক্ত।

ঋণমুক্ততাঃ । নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলেও ব্যক্তির ঋণমুক্ততা, যাকাত ওয়াজিব হওয়ার অন্যতম শর্ত। যদি সম্পদের মালিক এত পরিমাণ ঋণগ্রস্থ হন যা, নিসাব পরিমাণ সম্পদও মিটাতে অক্ষম বা নিসাব পরিমাণ সম্পদ তার চেয়ে কম হয়, তার উপর যাকাত ফরয হবে না। ঋণ পরিশােধের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই কেবল যাকাত ওয়াজিব হয়। তবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় মতটি হলাে: যে ঋণ কিস্তিতে পরিশােধ করতে হয় সে ঋণের ক্ষেত্রে যেবছর যে পরিমাণ ঋণ পরিশােধ করতে হয়, সেবছর সে পরিমাণ ঋণ বাদ দিয়ে বাকিটুকুর উপর যাকাত দিতে হয়। কিন্তু ঋণ বাবদ যাকাত অব্যাহতি নেয়ার পর অবশ্যই ঋণ পরিশােধ করতে হবে। অন্যথায় সে সম্পদের উপর যাকাত দিতে হবে।

সম্পদ এক বছর আয়ত্বাধীন থাকাঃ নিসাব পরিমাণ স্বীয় সম্পদ ১ বছর নিজ আয়ত্বাধীন থাকাই যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পূর্বশর্ত। তবে কৃষিজাত ফসল, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির যাকাত (উশর) প্রতিবার ফসল তােলার সময়ই দিতে হবে।

৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর 

ইংরেজী এসাইনমেন্ট 

Our daily diet Your Daily Diet

1. Make a list of food items you take every day as breakfast, brunch( a meal between breakfast and lunch), lunch, afternoon teada small meal you can have in the afternoon) and dinner and, identity what kinds of food they are. For example-Protein, Carbohydrate etc.

2. Decide if your daily diet is balanced. If yes, give reasons.

3. If it’s not, explain why not.

উত্তর:


কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট

পল্লব যখন মামার বাড়িতে গিয়েছিল তখন কাজিনদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটায় পল্লবের মামা কাজিনদের সহযােগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করেছেন। সেখান থেকে টমেটো, বেগুন, আলু, ডাটা নিজ হাতে তুলে এনে পল্লবকে টাটকা সবজির সাথে পরিচয় করিয়ে | দিলেন। কিন্তু পল্লবের নজরে এলাে সবজি বাগানের কোন কোন গাছের পাতায় বাদামী ও কালাে দাগ ফুটে উঠেছে, একটা | বেগুন গাছ ঢলে পড়ে আছে এবং আলু গাছের পাতায় ঝলসানাে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পল্লব উক্ত সমস্যাগুলাে নিচের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে কীভাবে সমাধান করতে পারে-

১। গাছের পাতা কেন ঝলসে যায়?

২। গাছের চারা কেন ঢলে পড়ে?

৩। গাছের পাতায় বাদামী, কালাে বর্ণের দাগে গাছের কি ক্ষতি হয়?

৪। এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে কীভাবে গাছের রােগ প্রতিরােধ করা যায়?

অষ্টম শ্রেনির সকল বই পিডিএফ

উত্তর :

যদি ফসলের শারীরিক কোনাে অস্বাভাবিক অবস্থা দেখা যায় তখন বুঝতে হবে ফসলের কোন না কোন রােগ হয়েছে। যেমন- ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতাে হচ্ছে না,দেখতে দুবর্ল ও লিকলিকে, ফুল অথবা ফল ঝরে যাচ্ছে। নানা লক্ষণে ফসলের রােগ প্রকাশ পায়। ভিন্ন। ভিন্ন ফসলের ভিন্ন ভিন্ন রােগ হয়, ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণও দেখা দেয়।

গাছের পাতা ঝলসে যাওয়ার কারণ

জীবের চারপাশে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ আরাে অনেক অনুজীব আছে যারা ফসলের রােগ-বালাই ছড়ায়। উদ্ভিদের ধ্বসা রােগের কারণে পাতা ঝলসে যায়। যেমন- ধান ও আলুর ধ্বসা রােগ।

গাছের চারা ঢলে পড়ার কারণ-

অনেক সময় ফসলের কান্ড ও শিকড় রােগে আক্রান্ত হলে ফসলের শাখাগুলাে মাটির দিকে ঝুলে পড়ে এই অবস্থাকে ঢলে পড়া রােগ বলে। যেমন- বেগুনের ঢলে পড়া রােগ।

গাছের পাতায় বাদামি, কালাে বর্ণের দাগে গাছের যে ক্ষতি হয়

ফসলের পাতায়, কাণ্ডে বা ফলের গায়ে নানা ধরনের দাগ বা স্পট দেখা দেয়। দাগের রঙ কালাে, হালকা বাদামি, গাঢ় বাদামি কিংবা দেখতে পানিতে ভেজার মতাে হয়। ফসলের এসব দাগ বিভিন্ন রােগের কারণে হয়। যার ফলে ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতাে হয় না, দেখতে দুর্বল ও লিকলিকে হয়, ফুল অথবা ফল ঝরে যায় এমনকি গাছ মরেও যায়।

এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে যেভাবে গাছের রােগ প্রতিরােধ করা যায়রােগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ফসলের রােগের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ, ফসল একবার রােগাক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার করা কঠিন। তাই রােগের প্রাদুর্ভাব ঘটার আগে নিচে উল্লিখিত প্রযুক্তিগুলাে ব্যবহার করা জরুরিঃ

জীবাণুমুক্ত বীজ ব্যবহার করাঃ বীজের মাধ্যমে অনেক রােগ ছড়ায়। তাই কৃষককে নীরােগ বীজ সংগ্রহ করতে হবে বা বীজ শােধন করতে বলতে হবে।

বীজ শােধনঃ অনেক বীজ আছে নিজেরাই রােগ বহন করে। বীজ বাহিত রােগ জীবাণু নিরােগ করার জন্য বীজ শােধন একটি উত্তম প্রযুক্তি। এজন্য ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা হয়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ফসল আবাদ করাঃ ফসলের ক্ষেতে আগাছা থাকলে ফসল রােগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। কারণ আগাছা অনেক রােগের উৎস। তাই আগাছা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করতে হবে।

রােগাক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে পুঁতে ফেলাঃ এক গাছ রােগাক্রান্ত হলে অন্য গাছেও ছড়িয়ে পড়ে। যাতে রােগ পুরাে মাঠে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য নিদিষ্ট রােগাক্রান্ত গাছটি তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। নতুবা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হবে।।

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট

তােমার বয়স তের বছর, নিচের ছক অনুযায়ী তােমার ১ দিনের খাদ্য তালিকা (পরিমানসহ) তৈরি কর
বিভিন্ন শ্রেণির খাদ্য গ্রহনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:

পরিবারের সদস্যদের সুষম খাবার পরিবেশনের জন্য মেনু পরিকল্পনা করা উচিত । মেনু পরিকল্পনার মাধ্যমে পুষ্টি সম্মিলিত আকর্ষণীয়  খাবার পরিবেশন করা যায় । খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় । কারণ পুষ্টির অভাবে শারীরিক বর্ধন এবং মেধা বিকাশ ব্যাহত হয়। খাদ্যখাতে খরচের বিষয় বিবেচনা করে মেনু পরিকল্পনা করতে হয়। খাবার যাতে একঘেয়ে না হয়ে যায় সেজন্য বিভিন্ন ধরণের খাদ্যের সমাহার ঘটাতে হবে। আমার বয়স হচ্ছে তের বছর। আমি একজন কিশাের/কিশােরী । নিচে আমার ১ দিনের খাদ্য তালিকা পরিমাণসহ উপস্থাপন করা হলাে :

বিভিন্ন শ্রেণির খাদ্য সকাল দুপুর বিকাল রাত
১. শস্য ও শস্য জাতীয় খাদ্য ১ কাপ ভাত /২টি রুটি ২কাপ ভাত ১ কাপ মুড়ি / চিড়া। ১ কাপ ভাত /২টি রুটি
২. প্রােটিন জাতীয় খাদ্য ১ টি ডিম / ১ কাপ ডাল ১ কাপ ডাল বিকাল – ১/৩ কাপ বাদাম ১ কাপ ডাল
৩, শাকসবজি ১ কাপ সালাদ / ১ কাপ সবজি। ১ কাপ শাক / ১ কাপ সবজি ১ টা আলু ১ কাপ শাক / ১ কাপ সবজি
৪. ফল ১ টি কলা ১ টি পেয়ারা / ১ টি পেঁপে
৫. দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্য:  ১ কাপ দুধ ১ কাপ দুধ/১ কাপ দধি
৬. তেল, ঘি : ২চামচ তেল ২চামচ তেল ১ চামচ ঘি ২চামচ তেল
৭. মিষ্টি জাতীয় খাবার ১ টি মিষ্টি /১ গ্লাস শরবত

আমাদের দৈনিক কাজকর্ম, চিন্তা ভাবনা ও শারীরিক পরিশ্রমের জন্য দেহের ক্ষয়  হয়, খাদ্য সেই ক্ষয় পূরণ করে। তাই দেহের পুষ্টির জন্য খাদ্য একান্ত প্রয়ােজন। পুষ্টির অভাবে শারীরিক বর্ধন এবং মেধা বিকাশ ব্যাহত হয়। খাদ্যদ্রব্য মানুষের জীবনের ভিত্তি ও প্রধান অবলম্বন । ভালাে খাওয়া দাওয়া ভালাে স্বাস্থ্য, কর্মসামর্থ্য ও দীর্ঘ পরমায়ু লাভের উপায়। কিন্তু ভালাে ভালাে খাদ্য খেলেও দেখা যায় শরীরে অনেক ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না । খাদ্য সুষম (Well. Balanced) হওয়া প্রয়ােজন । শারীরিক ক্ষমতা ও দক্ষতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ছয়টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি।
তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রয়ােজনীয় পুষ্টি উপাদান পেতে হলে মৌলিক খাদ্য গােষ্টির প্রতিটি গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য প্রতিদিনই নির্বাচন করতে হবে। প্রতিদিনই উদ্ভিজ্জ প্রাণীজ উভয় উৎস থেকেই প্রােটিন গ্রহণ করতে হবে। দিনে অন্তত একবার প্রাণীজ প্রােটিন গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যের সঠিক রং ও আকৃতি, ভালাে রান্না এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার মুখে রুচি আনতে এবং খাদ্য গ্রহণে আকৃষ্ট করে। তাছাড়াও খাবার যাতে একঘেয়ে না হয়ে যায় সেজন্যও বিভিন্ন ধরণের খাদ্যের সমাহার  আর এ কারণেই আমাদের বিভিন্ন শ্রেণীর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ।

৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ৩০ মে ২০২১ তারিখে  প্রকাশ করা হয়েছে । পঞ্চম সপ্তাহে দুটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ জমা দিতে হবে । নিচে এসাইনমেন্টের প্রশ্ন  ও উত্তর দেওয়া হল :

বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরােনামে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা।

উত্তরটি দেখুন এখান থেকে 

জীবন ও কর্মমূখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান

ক. বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। খ. শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছে। গ. শ্রেণিতে শিক্ষক পাঠদান করছে। ঘ. শিক্ষক বই বিতরণ করছেন।

এই চারটি চিত্র অংকন করে কোনটি কায়িক শ্রম ও কোনটি মেধাশ্রম এবং কেন?

উত্তর:

মেধাশ্রম

মানুষ তার কাজে চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধি ও মেধা ব্যাবহার করায় যে শ্রম দেয় তাকে মেধাশ্রম বলে। অর্থাৎ যে শ্রমে ঘাম ঝরে না তাকে মেধাশ্রম বলে। যেমনঃ সরকারি বেসরকারি দাপ্তরিক (অফিসিয়াল) কাজ, কম্পিউটার। প্রগ্রামিং, বই লেখা, ফ্রি ল্যান্সিং, শিক্ষকতা, পড়ালেখা করা, সাংবাদিকতা, আইন পেশা এবং গান লেখা ইত্যাদি মেধাশ্রম।

শারীরিক বা কায়িকশ্রম

মানুষ তার শারিরীক শক্তি দিয়ে কোনাে কাজে যে শ্রম দেয় তাই শারীরিক শ্রম। যেমনঃ শ্রমিক, ড্রাইভার, মেশিন অপারেটর, কুলি, মিস্ত্রি, কামার, কুমার, মুচি, নাপিত, ধােপা ইত্যাদি শ্রেনীপেশার মানুষের শ্রমই কায়িক শ্রম।

জীবনে বেঁচে থাকার জন্য মানসিক ও শারীরিক দুই প্রকার শ্রমকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক শ্রম মূলত কাজের প্রেরণা যােগায় আর শারীরিক শ্রম তা সমাধান করতে সাহায্য করে।

নিম্নে চারটি ঘটনার চিত্র অঙ্কন করে এগুলর কোনটি কী ধরনের শ্রম তা ব্যাখ্যা করা হলােঃ

ক. বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে।

বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে এতে তাদের কোনাে শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না। তারা কেবল চেয়ারের উপর বসে তাদের মেধা দিয়ে এবং মন দিয়ে বই পড়ছে। এতে তাদের মেধা শ্রম হচ্ছে। তারা অনেক কিছু জানতে পারছে।কিন্তু শুধু বসে থাকায় কোনাে কায়িক পরিশ্রম হয় না কিন্তু পড়ালেখা করলে মস্তিষ্কে এক প্রকার শ্রমের সৃষ্টি হয়। তাই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পাঠাগারে পড়ালেখা করায় তাদের মেধা শ্রম হচ্ছে।

খ) শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার করছে।

শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছে এতে তাদের শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে। তারা ঝাড়ু অন্যান্য উপকরণ হাতে শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার করছে ফলে তাদের শক্তি খরচ হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের পেশি চালনার প্রয়ােজন হচ্ছে। কিন্তু এতে তাদের কোন মেধা খরচ হচ্ছে না। তাই এটি কায়িক শ্রম।।

গ) শ্রেণীতে শিক্ষক পাঠদান করছেন।

শিক্ষক শ্রেণীতে পাঠদান করছেন এতে তার মেধাশ্রম হচ্ছে।তাকে। পাঠদান করার জন্য অনেক কিছু জানতে হয় অনেক কিছু শিখাতে হয়।তিনি মুখ দিয়ে কথা বলছেন এবং শিক্ষার্থীরা তা শুনছে আর কথা বলায় তার মেধা কাজে লাগাচ্ছেন। এতে তাঁর মেধা শক্তি কাজে লাগছে। তাই শ্রেনীতে শিক্ষকের পাঠদান করা মেধাশ্রম।

ঘ) শিক্ষক বই বিতরণ করছেন।

শিক্ষক বই বিতরণ করছেন এতে তার শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে। শিক্ষক বই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করছেন ফলে শারীরিক শক্তি। খরচ হচ্ছে। কিন্তু এতে তার কোন মেধা খরচ হচ্ছে না। তাই এটি কায়িক শ্রম।

উপরের চিত্রগুলাে স্পষ্ট বলে দেয় যে, কোনটি মেধাশ্রম এবং কোনটি | কায়িক শ্রম। বাস্তব জীবনে এবং সভ্যতার বিকাশে উভয় শ্রমই সমান | গুরুত্ব বহন করে। কারন একে অপরের পরিপুরক।

শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা

এ্যাসাইনমেন্ট এর রূপরেখার সর্বজন স্বীকৃত তেমন কোনো কাঠামো নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেরই তাদের নিজস্ব কাঠামো বা রুপরেখা থাকতে পারে। যদি ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা দেওয়া হয় তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তবে এ্যাসাইনমেন্ট সাধারণভাবে যে বিষয়গুলো আপনার লিখতে হবে তা হলোঃ-

ভূমিকাঃ এখানে সমস্যার একটি সু-স্পষ্ট বর্ণনা থাকবে। Assignment-এ ব্যবহৃত শব্দ ও পদগুলোর ডেফিনেশন বা সংজ্ঞা থাকবে এবং সমস্যা বা অ্যাসাইনমেন্ট এর সীমাবদ্ধতা এখানে লিখতে হবে। তাৎপর্য ও পটভূমি এর মধ্যেই থাকবে। এখানে আরোও কিছু থাকতে পারে। যেমনঃ আনুষঙ্গিক বই পত্রের পর্যালোচনা থাকতে পারে আবার সমস্যা বা বিষয়টির পরিধি বর্ণিত হতে পারে। মূল ব্যাপার হচ্ছে, ভূমিকায় পুরো অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত মোটামুটি একটা ধারনা থাকবে।

মূল অংশঃ এই অংশে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির উত্তরণ ঘটাতে হবে। ভূমিকায় বর্ণিত সমস্যাটির প্রগতিশীল সমাধানের জন্য এখানে বিস্তারিত লেখা হয়। তবে পুরো Assignment-এর মূল অংশ এখানে উপস্থাপিত হবে। তবে এই অংশটিকে সচল রাখার জন্য অন্যকোন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে চলবে না।

উপসংহারঃ এখানে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা নির্বাচিত বিষয়টির রেজাল্ট উপস্থাপন করবে। এতে সমস্যার সমাধান এবং সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ থাকতে পারে আবার সাথে সাথে সুপারিশও থাকতে পারে।

প্রিয় ভিজিটর, এখানে উপস্থাপিত সকল তথ্য উপাত্ত অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত । উল্লেখিত কোন তথ্যের ভুল যদি আপনার নিকট দৃশ্যমান হয় তবে অতিসত্ত্বর তা আমাদের ইমেইলের ([email protected]) মাধ্যমে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button
error: কন্টেন্ট সংরক্ষিত !!