ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নোটিশ ২০২০-২১। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১ প্রকাশিত হয়েছে। এই বছর, ২০২০-২১ সেশনে, বাংলাদেশের ০৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট) একটি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এই পদ্ধতিকে “সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা পদ্ধতি” বলা হয়। এই সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ০৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা একসাথে নেওয়া হবে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ ও একসাথে প্রকাশিত হয়েছে ।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি ২০২০-২১ সেশনের জন্য প্রকাশিত হয়েছে। আসুন বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সিট সংখ্যা, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কি সাবজেক্ট এবং কত সিট আছে এসব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
এই বছর যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রথম বারের মত সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা পদ্ধতি ভর্তি পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে, তাই কিভাবে নেওয়া হবে এই বিষয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগ পর্যন্ত ভাল ধারণা করা যাচ্ছিলো না। যেহেতু এখন প্রকাশিত হয়েছে ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য যোগ্যতা কি কি থাকতে হবে, নাম্বারিং সিস্টেম কেমন হবে বা সিট প্লানই বা কেমন হবে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী |
---|
|
এক নজরে ০৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও সিট সংখ্যা
২০২০-২১ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা,
ক্র. ন. | বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম | আসন সংখ্যা | সংরক্ষিত আসন সংখ্যা | মোট আসন সংখ্যা |
০১ | চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) | ৮৯০ | ১১ | ৯০১ |
০২ | খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) | ১০৬০ | ০৫ | ১০৬৫ |
০২ | রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) | ১২৩০ | ০৫ | ১২৩৫ |
সর্বমোট | ৩১৮০ | ২১ | ৩২০১ |
বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ
বাংলাদেশে মোট ০৫ টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো হলোঃ- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। এর মধ্যে ০৩টি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট) সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। একটি ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ প্রকাশিত হবে এবং একই দিন একই সময়সূচীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১.চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম – রাজধানী সড়কের পাশেই অবস্থিত, চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে যেটি মূল সমুদ্র-বন্দর এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১৭১ একর জমিতে দুর্দান্ত প্রাকৃতির মধ্যে অবস্থিত।
বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আপ্লাইড সায়েন্স এবং প্রকৌশল, গবেষণা, উচ্চশিক্ষা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এর স্নাতকগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন।
এক নজরে চুয়েট | ||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ডিপার্ট্মেন্ট অনুসারে সিট সংখ্যা (সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বাদে),
|
২.খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান শাখাগুলির মধ্যে খুব উচ্চ মানের শিক্ষামূলক, গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম সরবরাহের জন্য খ্যাতিমান।
কুয়েট ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে বিশেষ দিকনির্দেশনার পরে, এটি দীর্ঘ দীর্ঘকালীন যাত্রা শুরু করে ১৯৭৪ সালের ৩ জুন থেকে। পরে উচ্চতর একাডেমিক এবং গবেষণা ক্ষমতা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এটি ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘ সময় পরে প্রতিষ্টানটি ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) হিসাবে উন্নীত হয় এবং এর নামকরণ হয়।
এক নজরে কুয়েট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ডিপার্ট্মেন্ট অনুসারে সিট সংখ্যা (সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বাদে),
|
৩.রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়। এটি প্রযুক্তি ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণা ডিগ্রী সরবরাহ করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে রাজশাহীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে ৩ টি বিভাগ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং প্রতি বছর ৩ টি বিভাগে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরে এটি ১৯৮৬ সালে প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণাকে জোরদার করার জন্য পরে এটি ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) হিসাবে উন্নীত ও নামকরণ করা হয়েছে।
এক নজরে রুয়েট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ডিপার্ট্মেন্ট অনুসারে সিট সংখ্যা (সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বাদে),
|