কর্পোরেট জব পাওয়ার কিছু কৌশল!
বেকারত্ব প্রতিটা দেশেরই অভিশাপ।অার অামাদের দেশের বেকারদের সংখ্যা নেহাৎই কম নয়।তবে সত্যিই কি অামাদের দেশে চাকরি নেই।নাকি অন্য কিছু?ভুল।চাকরি অাছে।কিন্তু দক্ষ জনশক্তি নেই।যার ফলে ফাকা থাকছে অনেক পোষ্ট অাবার বেকার থাকছে লাখো যুবক।তাই অামাদের অবশ্যই সবার অাগে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
অাজ বলব কর্পোরেট জব করার জন্য নিজেকে গড়ে তোলার কিছু কৌশল।
১।স্মার্টনেস ঃ
সর্বপ্রথম অাপনার যেটা দরকার সেটা হলো অাপনার স্মার্টনেস।অাপনাকে অবশ্যই স্মার্ট হতে হবে।চোখে সানগ্লাস অার স্টাইলিস্ট টি শার্ট পরলেই স্মার্ট হওয়া যায় না।অাপনার স্মার্টনেস প্রকাশ পাবে অাপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ,ড্রেস অাপ,চুলের স্টাইল,দাতের রং সব কিছুতে।পরিপাটি চেহারা স্মার্টনেসে ১ম শর্ত।হোক সেটা কালো।
২।ভাষাগত দক্ষতাঃ
কর্পোরেটে চাকরি করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে অাপনাকে অন্তত ২টা ভাষা জানতে হবে।এবং তা শুদ্ধভাবে বলতে হবে।হোক সেটা বাংলা+ইংরেজি,বাংলা+হিন্দি,ইংরেজি+হিন্দি ইত্যাদি।
৩।পরিপুর্ণ ও পরিপাটি সিভিঃ
সিভিতে অবশ্যই ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সুন্দরভাবে তুলে ধরা অবজেক্টিভ অবশ্যই নিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে। সর্বোচ্চ দুই-তিন লাইনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী নিজের শক্তিশালী দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই তা যেন নিয়োগকারীদের বিরক্তির উদ্রেক না করে। সিভি যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করা ভালো। পরীক্ষার ফল সিজিপিএ ব্যাংকিং ৩-এর নিচে হলে না লেখাই ভালো, তবে সে ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
ব্যক্তিত্ব বিকাশের ৮টি মূলমন্ত্র ।
এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও সমস্যা নেই। বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা, ধর্ম, ওজন, উচ্চতা এসব তথ্য জরুরি নয়। রেফারেন্স হিসেবে ফ্রেশারদের অবশ্যই তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষককেই নির্বাচন করা উচিত। আরেকজন হতে পারেন, যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেখানকার সুপরিচিত কেউ। রক্তের সম্পর্কের কাউকে এখানে উল্লেখ না করাই উচিত। তবে রেফারেন্স যাদের দেয়া হবে তাদের জানিয়ে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় তাদের কাছে সিভির একটি কপি থাকলে।
৪।এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজঃ
বর্তমানে কর্পোরেট অফিসগুলোতে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ এর ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়।২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যেখানে রসায়নে নোবেল বিজয়ী তাইওয়ানের প্রফেসর লি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘বি ইউজফুল, বি ইউজফুল ফর দ্য সোসাইটি’। সমাজের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলার মাধ্যমে ক্যারিয়ারকেও বর্ণাঢ্য করা সম্ভব।উদাহরণসরূপ র্মঞ্চে পারফরমেন্স এর অভিজ্ঞতা থাকলে তার ভিতর জড়তা কম থাকে।ফলে করপোরেট জবের ক্ষেত্রে তার চাহিদা বেশি থাকবে।
৫।অাপডেট থাকুনঃ
একটা কথা মনে রাখতে হবে হাজার প্রার্থীর মাঝে চাকুরীদাতা অাপনাকে খুজে নেবে।তাই অাপনাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে তিনি সহজেই অাপনাকে খুজে নিতে পারেন।এ জন্য দরকার চাকরিদাতার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু জেনে রাখা। এ কাজে ঢের উপকারে লাগে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট। ওইসব ওয়েবসাইটে নিয়মিত ঢুঁ মারলেই যথেষ্ট। পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি করে রাখুন। তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন। চাকরির ধরন বুঝে তৈরি করুন আবেদনপত্র।বিবিসির মতো অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নতুন চাকরির খবর ই-মেইলেও জানিয়ে দেয়। সেসব মেইলিং লিস্টের সদস্য হতে পারেন। এনজিওগুলোর ক্ষেত্রে তাদের প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখুন। সুযোগ বুঝে তাদের কোনো একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার আগ্রহ ও পরামর্শের কথা মেইল করতে পারেন।
৬।কথা বলার স্টাইলঃ
অাপনাকে অবশ্যই শুদ্ধ ভাষায় এবং স্মার্টলি কথা বলতে হবে।কার সাথে কিভাবে কি কথা বলতে হবে এটা জানতে হবে।কখন কি বললে ঠিক হবে এটা জানতে হবে।
৭।প্রযুক্তিগত বিদ্যাঃ
অাপনাকে অবশ্যই প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।অন্তত অাপনার হাতের স্মার্ট ফোনের বিস্তারিত,কম্পিউটারের ব্যাসিক জ্ঞান এসব থাকা লাগবেই।
এসব দিকনির্দেশনা ফলো করলেই চাকরি ১০০% হবেনা।তবে চাকরি জন্য চেষ্টা করার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।অাগে নিজেকে গড়ে তুলুন।অাপনার চাকরি খোজা লাগবেনা চাকরি অাপনাকে খুজবে।বি স্মার্ট……@