বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পিডিএফ
বিসিএস পরীক্ষার নতুন সিলেবাস ২০২১ । বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পিডিএফ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এ প্রকাশ করা হয় । আশা করছি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বিসিএস সিলেবাস পিডিএফ ভার্সন এবং এ সম্পর্কিত তথ্য বিস্তারিত তথ্য পেয়ে পাবেন। এছাড়াও আপনি বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কেও ধারণা পাবেন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পিডিএফ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এই পরীক্ষাটির আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকেই বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশিত হয়।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস
বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার জন্য আপনার কি পড়া উচিত, তা নিয়ে কি আপনি অনিশ্চয়তায় আছেন? তাহলে বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
চলুন এখন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বন্টন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
- বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য – ৩৫
- ইংরেজি ভাষা এবং সাহিত্য – ৩৫
- বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ৩০
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – ২০
- ভূগোল, পরিবেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা – ১০
- সাধারণ বিজ্ঞান – ১৫
- কম্পিউটার এবং তথ্যপ্রযুক্তি – ১৫
- গাণিতিক যুক্তি – ১৫
- মানসিক দক্ষতা – ১৫
- নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন – ১০
মোট = ২০০ নম্বর
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু জরুরী বিষয়
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেটা আপনার জানা উচিত।
- প্রত্যেক বিসিএস পরীক্ষার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। পরীক্ষা শুধুমাত্র নৈবত্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ)থাকবে এবং পরীক্ষার মোট সময় হবে ২ ঘন্টা।
- এখানে সর্বমোট ২০০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রত্যেক সঠিক উত্তরের জন্য, একজন পরীক্ষার্থী ১ নম্বর পাবে এবং প্রত্যেক ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
- বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নৈবত্তিক প্রশ্নপত্র (এমসিকিউ) গোপনীয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে পারবে না। এমনকি পরীক্ষার্থীরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কত নম্বর পেলে তাও জানতে পারবে না।
- আপনি আপনার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোন ধরা-বাধা পাস নম্বর নেই। ফলাফল সম্পর্কিত সকল সিদ্ধান্ত বিসিএস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিশন নিয়ে থাকে।
- যদি কোনো পরীক্ষার্থী, তার পরীক্ষার উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর অস্পষ্ট লেখে অথবা পরীক্ষার উত্তরপত্রে সঠিকভাবে বৃত্ত ভরাট না করে, তাহলে সে পরীক্ষার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পিডিএফ
দ্বিতীয় ধাপে, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, আপনাকে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে যেটা কিনা ৯০০ নম্বরের হয়ে থাকে। সাধারণ এবং পেশাগত/কারিগরি ক্যাডার উভয়ের জন্যই ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস নিম্নে দেওয়া হল:
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বন্টন উল্লেখ করা হলো –
সাধারণ ক্যাডার এর জন্য
- বাংলা – ২০০
- ইংরেজি – ২০০
- বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ২০০
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক – ১০০
- গাণিতিক যুক্তি এবং মানসিক দক্ষতা – ১০০
- সাধারণ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি – ১০০
মোট = ৯০০ নম্বর
পেশাগত/কারিগরি ক্যাডারের জন্য
- বাংলা – ১০০
- ইংরেজি – ২০০
- বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ২০০
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – ১০০
- গাণিতিক যুক্তি এবং মানসিক দক্ষতা – ১০০
- পোস্ট রিলেটেড সাবজেক্ট (প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার এর জন্য) – ১০০
মোট = ৯০০ নম্বর
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভাষা সম্পর্কিত বিষয়াবলী জন্য যেমন: বাংলা ও ইংরেজি-এর জন্য আপনার নির্ধারিত ভাষায় উত্তর লিখতে হবে। অন্যান্য বিষয়ের জন্য আপনি বাংলা অথবা ইংরেজি যে কোন একটি ভাষায় উত্তর করতে পারবেন। কিন্তু যদি প্রশ্নে কোনো গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করা থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
শুধু আমরা বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই।
মৌখিক পরীক্ষা
বিসিএস এ ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সাথে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা রয়েছে। সাধারণ এবং পেশাগত/কারিগরি উভয় ক্যাডারকে মৌখিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, বিসিএস পরীক্ষার মোট নম্বর ১১০০।
শূন্য পদ
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার এ, মোট ১৮১৪ টি শূন্য পদ ছিল।
- সাধারণ ক্যাডার – ৫৫০
- পেশাগত/কারিগরি ক্যাডার – ৩১০
- সরকারি কলেজ শিক্ষক – ৮৪৩
- সরকারি কলেজ শিক্ষক প্রশিক্ষক – ১২
- কারিগরি – ৯৯
মোট = ৫৫০ + ৩১০ + ৮৪৩ + ১২ + ৯৯ = ১৮১৪
মেডিকেল টেস্ট
কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মেডিকেল টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই পরীক্ষায় কিছু ন্যূনতম ফিজিক্যাল ফিটনেস আছে, যেটা কিনা একজন প্রার্থীর জন্য দরকারি। মেডিকেল টেস্টে অযোগ্য হলে, একজন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য সরকার বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
যোগাযোগ
বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আরো জানার জন্য আপনি নিম্নবর্ণিত ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে পারেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা – ১২০৭
আরো আপনি বিসিএস এর জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সমূহ দেখতে পারেন – www.bpsc.gov.bd এবং www.bpsc.teletalk.com.bd