এইচএসসিএসএসসি

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়।

হারানো সার্টিফিকেট এবং নম্বর পত্র উত্তলোন করুন।

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়। অনেক সময় আমরা অসাবধানতা বশত কিংবা দুর্ঘটনা বশত আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র হারিয়ে ফেলি বা আংশিক নষ্ট করে ফেলি। কিন্তু এ জিনিস-পত্র যদি হয় শিক্ষা-জীবনের অধ্যয়নের ফল হিসাবে পাওয়া মূল্যবান চরম ও পরম স্বার্থকতা স্বরূপ নম্বর পত্র কিংবা সনদপত্র? কি হবে তখন? কিভাবে আবার ফিরে পাবো আমাদের সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র? চলুন এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক এই পোস্টের মাধ্যমে।

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়

হারিয়ে ফেলার সমস্যা আমাদের সবারই আছে। আপনার বা আপনার আশেপাশের কারো হারাতে পারে এসএসসি সার্টিফিকেট, হারাতে পারে এইচএসসি সার্টিফিকেট, হারাতে পারে অনার্স  কিংবা মাস্টার্স  এর সার্টিফিকেট। এছাড়াও হারাতে পারে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ  কাগজপত্র ও সার্টিফিকেট। এজন্য আমাদের জানা থাকা ভাল, এসব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র হারিয়ে গেলে তা কিভাবে পুনুরুদ্ধার করা যেতে পারে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ জানালেন, সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে দেরি না করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেকোন সার্টিফিকেট বা নম্বর পত্র হারালে তা পাওয়ার জন্য আপনাকে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে তা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলো।

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে ফিরে পাবার উপায়

 

প্রথম ধাপঃ সর্ব প্রথম আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি GD করতে হবে। GD-এর একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। GD হচ্ছে General Diary-এর সংক্ষিপ্ত রুপ। থানায় যেকোন ইস্যুকে কে ডায়েরীভুক্ত করাকেই GD বলে।

আপনার হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট এর রোল নাম্বার, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার,পাশের সাল, হারানোর তারিখ এবং স্থান সম্বলিত তথ্য GD তে উল্লেখ থাকতে হবে। অন্যান্য ডকুমেন্ট এর ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় তথ্য সাথে রাখতে হবে। তাই বিষয়টি মনে রাখা জরুরী।

দ্বিতীয় ধাপঃ এরপর যে কাজটি করবেন সেটি হলো, যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় একটা হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আপনার নাম, শাখা, রোল নম্বর, পাসের সাল, পরীক্ষার কেন্দ্র, শিক্ষার বোর্ডের নাম এবং কিভাবে সার্টিফিকেট, প্রবেশপত্র অথবা নম্বরপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করে দিতে হবে।

বিঃদ্রঃ আংশিক/প্রায় পুরোপুরি নষ্ট হলে থানায় জিডি বা পেপারে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

তৃতীয় ধাপঃ থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের “তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র” থেকে আপনাকে একটি আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং তা নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।

চতুর্থ ধাপঃ এরপর নির্ধারিত ফি শিক্ষা বোর্ডের সচিব বরাবর সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। টাকা জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন কার্যকর হবে না।

পঞ্চম ধাপঃ আবেদনের ফরমের সাথে ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞাপনের কাটিং এবং থানায় করা GD-এর একটি কপি থাকতে হবে। এই আবেদন ফরমটি আপনার শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

চলুন আবেদন ফরম টা একবার দেখে নেওয়া যাকঃ

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়

 

যেভাবে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে

১/ প্রথম শূন্যস্থানে ইংরেজী বড় অক্ষরে নিজের নাম লিখতে হবে এবং নিচের শূন্যস্থানে বাংলায় স্পষ্টাক্ষরে নিজের নাম লিখতে হবে।

২/ ইংরেজী বড় অক্ষরে নিজের পিতার নাম লিখতে হবে এবং পরের শূন্যস্থানে বাংলায় স্পষ্টাক্ষরে একি নাম লিখতে হবে।

৩/ মাতার নাম ইংরেজী বড় অক্ষরে লিখতে হবে।

৪/  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজী বড় অক্ষরে লিখতে হবে। পরের শূন্য স্থানে আবার বাংলায় স্পষ্টাক্ষর লিখতে হবে। এবং সাথে ডাকঘর, থানা, জেলা লিখতে হবে।

৫/ পঞ্চম নাম্বার শূন্যস্থানে যে পরিক্ষার কাগজ পত্র হারিয়েছেন সেই পরিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য পূরণ করতে হবে।

৬/ ষষ্ঠ নাম্বার শূন্যস্থানে পঠিত নৈর্বাচিক বিষয়সমূহ উল্ল্যেখ করতে হবে।

৮/ যে দৈনিক পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন সে পত্রিকার নাম উল্লেখ করতে হবে।

৯/ সোনালী ব্যাংকের সেবা নং উল্লেখ করতে হবে।

১০/ এরপর আপনার পুরো ঠিকানা লিখতে হবে প্রতিটি নির্দিষ্ট বক্সে।

ফরম পূরণের আরোও কিছু নিয়মাবলী আছে যা নিচে ছবি আকারে এই পোস্টের সাথে যুক্ত করা আছে। নিয়মাবলী ভালমতে পড়ে ফরম টি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে।

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিয়ামাবলীঃ

সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়

 

আংশিক নষ্ট হয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট কিংবা নম্বর পত্রের ক্ষেত্রে করণীয়

আংশিক নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় GD ও করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশ বিশেষে রোল নম্বর, নাম, কেন্দ্র, পাসের বিভাগ ও সাল, জন্মতারিখ এবং পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

দ্রষ্ঠাব্যঃ এই পোস্টে ব্যাবহৃত ছবি গুলো www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। এই ধরণের অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন লেখা পেতে admissionwar.com এর সাথে থাকুন।

স্বীকারোক্তিঃ এখানে উপস্থাপিত সকল তথ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা। যেহেতু কোন মানুষই ভুলের ঊর্দ্ধে নয় সেহেতু আমাদেরও কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে।সে সকল ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং একথাও উল্লেখ থাকে যে এখান থেকে প্রাপ্ত কোন ভুল তথ্যের জন আমরা কোনভাবেই দায়ী নই এবং আপনার নিকট দৃশ্যমান ভুলটি আমাদেরকে নিম্নোক্ত মেইল / পেজ -এর মাধ্যমে অবহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ই-মেইলঃ admin@admissionwar.com অথবা এইখানে ক্লিক করুন।

admissionwar-fb-pageaw-fb-group

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button