পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০টি কৌশল
ছাত্রজীবন মজার জীবন,যদি না থাকতো পরীক্ষা । সত্যিই তাই, এই মজার ছাত্রজীবনকে পরীক্ষা নামক এক বস্তু এসে পুরোপুরি বিষিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে অামাদের পরীক্ষা দেওয়াই লাগবে অার সেখানে সফলও হতে হবে । কিন্তু অনেকেই দেখা যায় অনেক পড়ালেখা করে কিন্তু অাশানুরুপ ভালো ফল করতে পারেনা । তাই পড়াশুনায় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয় । যা তোমাকে ভালো ফলাফল করতে অনেক সাহায্য করবে । অাজ অামরা তোমাদের জন্য সেরকমই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০টি কৌশল শিখিয়ে দেবো । প্রয়োগ করে দেখো । অাশা করি ফল পাবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০টি কৌশল
১. বইয়ের বিশেষ বিশেষ অংশে রঙিন কোড ব্যবহার করাঃ
বইয়ের প্রতিটা অধ্যায়ে কিছু গুরুত্বপুর্ণ অংশ থাকে । যেগুলো অনেক সময় খুজে বের করতে গেলে সময় নষ্ট হয় । এই কারণে ঐ সকল অংশগুলোতে রঙিন কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে । তাহলে পরবর্তীতে খুব সহজেই সেটা তোমার সামনে চলে অাসবে । সময় সাশ্রয়ের সাথে পড়াটাও সহজ হবে।
২।বার বার পড়াঃ
একই জিনিস বার বার পড়লে সেটা তোমার ব্রেনে অনেকদিন স্থায়ী হবে । যেকোনো জিনিস একবার বুঝলে বা মুখস্ত করে সাথে সাথে কয়েকবার চোখ বুলিয়ে গেলে সেটা স্মৃতিতে গেথে যায় । যার ফলে পরবর্তীতে সেটার পিছনে অার বাড়তি সময় দেওয়া লাগবেনা।
৩।গ্রুপ স্ট্যাডি করাঃ
গ্রুপ স্ট্যাডি করে পড়লে তার থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় । যেকোনো সমস্যা কয়েকজন মিলে সমাধান করলে সেটা মনের ভিতর ভালো গেথে যায় । সকলের মতামত নিয়ে সমাধান করা যায় । অার গ্রুপ স্ট্যাডিতে পড়ালেখা অনেকটা অানন্দদায়ক হয়।
৪।নোট তৈরী করাঃ
তোমার পাঠের ওপর নিজের কিছু নোট তৈরী করতে হবে । যেগুলো পরীক্ষার পুর্বমুহুর্তে তোমাকে সাহায্য করবে। যখন হাতে সময় খুব কম থাকবে তখন ঐ নোট গুলো ফলো করলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব।
৫।শিক্ষক/বড় ভাইয়াদের সাথে অালোচনা করাঃ
শিক্ষক তোমাকে সব সময় সৎ উপদেশ দেবে । তাঁর সাথে দেখা করে তাঁর কাছ থেকে কিছু দিকনির্দেশনা নেওয়ার চেষ্টা করবা । যা তোমাকে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে।এছাড়াও বড় ভাইয়াদের পরামর্শ গ্রহণ করবা । এতে তাদের সাথে সুসম্পর্কও থাকবে । পরবর্তীতে যেকোনো সমস্যায়ও তাঁরা সাহায্য করবে।
এইচ.এস.সি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সাজেশন ।
৬।শর্টকাট টেকনিকঃ
কিছু বিষয়ের কিছু টপিক মনে রাখতে অনেক কষ্ট হয় । এগুলো সহজে মনে রাখার জন্য শর্টকাট টেকনিক প্রয়োগ করতে হবে । যেমন:অর্থো-প্যারা ও মেটা নির্দেশক :C,O,N,S এর যেকোনো দুটি মৌল একসাথে থাকলে তা হবে মেটা নির্দেশক । বাকি সব অর্থো-প্যারা।এভাবে অনেক টপিকস এর শর্টকাট টেকনিক প্রয়োগ করে মনে রাখতে হবে।
৭।ভালো ছাত্রছাত্রীদের সাথে মেশাঃ
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস,অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ । তাই সব সময় চেষ্টা করবে ভালো ছাত্রছাত্রীদের মেশার। অার একটা সত্য কথা হলো তুমি যখন একজন পড়ুয়া ছেলে/মেয়ের সাথে থাকবা তখন তোমার ভিতরেও পড়ার একটা টেন্ডেন্সি জন্ম নেবে। বিশ্বাস না হলে চেষ্টা করে দেখো।
৮।প্রতিযোগী ঠিক করোঃ
তুমি যখন সামনে কোনো কিছুকে টার্গেট করে চলতে থাকবা, তখন তোমার গতিটাও ঐ টার্গেটের বস্তুর সাথে তাল মিলিয়ে হবে । তাই তুমি এক্ষেত্রে তোমার থেকে ২ধাপ ওপরের ছাত্রকে টার্গেট করো । অার সেটা মন থেকেই করো । তাহলে দেখবে তোমার পড়ালেখার গতিও বেড়ে গেছে।
৯।ধর্ম কর্মঃ
পরীক্ষার সময় বা রেজাল্টের ২দিন অাগে টুপি মাথায় দিয়ে মসজিদে গেলে বা মন্দিরে গিয়ে মাথা ঠুকলে সৃষ্টিকর্তার মন জয় করা যায় না । যে যে ধর্মেই থাকো সে সেই ধর্ম মন থেকে সব সময় পালন করবে । অাগে সৃষ্টিকর্তার মন জয় করো।তিনি তোমাকে নিরাশ করবেন না।
টেস্ট পরবর্তী পড়াশোনার দিকনির্দেশনা পেতে আমাদের এই পোষ্টটি দেখতে পার
১০।খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপনঃ
অাগে দর্শনধারী,পরে গুণবিচারী । কথাটা অামাদের অজানা নয় । তুমি সারা বছর যতোই ভালো পড়ালেখা করো, পরীক্ষার খাতায় যদি সেটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে না পারো তাহলে কোনো লাভ নেই । অার তার জন্য প্রথমেই তোমার হাতের লেখা সুন্দর করতে হবে । কারণ হাতের লেখা খারাপ হলে স্যারেরা সেটা অার ভিতরে তেমন পড়ে দেখতে চায়না । এই জন্য অাগে স্যারদের চোখে ভালো লাগাতে হবে।
নিয়মিত পড়ালেখার পাশাপাশি এগুলো তোমাদের জন্য কিছু কৌশল । তবে নিঃসন্দেহে খারাপ কোনো উপদেশ না সেটা তোমরাও বুঝতে পারছো । তাহলে একটু চেষ্টা করেই দেখো । সাফল্য তোমার হাতের মুঠোই।
পড়ালেখা করতে হবে স্মার্টলি…..♥♥