এসাইনমেন্ট

৯ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও নমুনা সমাধান ২০২১ (১২ ও ১১তম সপ্তাহ)

৯ম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর ২০২১ । ১২ তম সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dshe.gov.bd -তে  প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২০ সালের মত ২০২১ শিক্ষাবর্ষেও পূণরায় নির্ধারিত কাজ বা এ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আজকে আমরা নবম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব ।

 ৯ম শ্রেণির ১২ তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও নমুনা সমাধান যুক্ত করা হয়েছে ।

৯ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সকল বোর্ডের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয় । শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পূণরায় ৯ম শ্রেণির এসাইনমেণ্ট জমাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • ১২ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১
  • মোট বিষয় : ৫টি
  • প্রশ্ন পিডিএফ : ডাউনলোড

৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট নমুনা সমাধান

৯ম শ্রেণিতে মোট ত্রিশটি বিষয় রয়েছে । ত্রিশটি বিষয়ের মধ্যে আবশ্যিক এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয়ে এসাইনমেন্ট দেওয়া দেওয়া হবে । শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত কাজ নির্ধারিত সময়ে শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জমা দিবেন । নিচে নবম শ্রেণীর সকল বিষয়ের এ্যাসাইনমেণ্ট সমাধান দেওয়া হল –

আরও পড়ুন: নবম ও দশম শ্রেণির বই ডাউনলোড পিডিএফ

১২ তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

দ্বাদশ সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির জন্য বাংলা, শারীরিক শিক্ষা এবং বিভাগ ভিত্তিক (মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যববসায় শিক্ষা)  তিনটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ প্রদান করা হয়েছে । নিচে সকল বিষয়ের প্রশ্ন ও নমুনা সমাধান দেওয়া হল –

বাংলা

৯ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট এনসিটিবি প্রদত্ত মূল বইয়ের হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কবিতা জীবন-সঙ্গীত থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ : ভাবসম্প্রসারণ কর:  ” সঙ্কল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা, রত হয়ে নিজ নিজ কাজে। “

বাংলা অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

শারীরিক শিক্ষা

শারীরিক শিক্ষা ১ম এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়: সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক শিক্ষা থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ : “দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়ােজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ সাধন সামাজিক গুণাবলি অর্জন ও খেলাধুলার মাধ্যমে চিত্ত বিনােদন”- উক্তিটি বিশ্লেষণ পূর্বক একটি প্রবন্ধ লিখ ।(সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ)

শারীরিক শিক্ষা অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

রসায়ন বিজ্ঞান

নবম শ্রেণির রসায়ন ৩য় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়: পদার্থের গঠন থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ : মানব শরীরে বিভিন্ন পদার্থ রয়েছে। এমন তিনটি যৌগিক পদার্থে বিদ্যমান মৌলসমূহের প্রতীক ও পারমাণবিক ভর এবং যৌগিক পদার্থসমূহের সংকেত উল্লেখসহ যৌগের আণবিক ভরের হিসাব সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন লিখ।

রসায়ন অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

ব্যবসায় উদ্যোগ

নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ ৩য় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মূল বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়: ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা থেকে নেওয়া হয়েছে ।

 নির্ধারিত কাজ :  সুমন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কক্সবাজারে একটি আধুনিক হােটেল স্থাপন করেন। বাচ্চাদের খেলার জন্য হােটেলের সামনে একটি ছােট পার্ক স্থাপন করেন। এক বছর তার ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেনি। তিনি চিন্তিত না হয়ে টেলিভিশন, পত্রিকা ও সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন এবং হােটেল ভাড়ার ৩০% ছাড়ের ব্যবস্থাসহ সকালের নাস্তা ফ্রি করেন। ফলে পরবর্তীতে তার হােটেলে লােকসমাগম হতে থাকে এবং আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আয়ের ৫% তিনি কর্মচারীদের মাঝে বণ্টন করেন। তার ব্যবসায় উত্তরােত্তর সফলতা লাভ করেন।
উপরের কেস স্টাডি থেকে সুমনের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে যে সকল গুণাবলি প্রভাব রেখেছে। সেগুলাে ব্যাখ্যা করাে।

ভূগোল ও পরিবেশ

ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মূল বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়: মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী থেকে নেওয়া হয়েছে ।

নির্ধারিত কাজ : “সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীতে জলবায়ুগত তারতম্য পরিলক্ষিত হয়” অনধিক ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন লিখ।

১২তম সপ্তাহের উত্তর খুব শীঘ্রই যুক্ত করা হবে ।

বিশেষ সতর্কতা : উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া । ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে । উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে । এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার Admissionwar -এর নয় ।

১১ তম সপ্তাহের নমুনা সমাধান

একাদশ সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির জন্য গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ প্রদান করা হয়েছে ।

গণিত

নবম শ্রেণির গণিত ৩য় নির্ধারিত কাজ মূল বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়: রেখা, কোণ ও ত্রিভুজ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

6-9-Assignment11week-compressed-08

নমুনা সমাধান

1-min
2-min

3-min
4-min

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

নবম শ্রেণির ১১তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৩য় নির্ধারিত কাজ মূল বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়: রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন: রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্মিলিত প্রয়াস ব্যতীত নাগরিক জীবনের কোনাে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। কোভিড১৯ পরিস্থিতির আলােকে এ বিষয়ে তােমার মতামত যুক্তিসহ তুলে ধর।

6-9-Assignment11week-compressed-09

নমুনা সমাধান

রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্মিলিত প্রয়াস ব্যতীত নাগরিক জীবনের কোনাে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আলােকে এ বিষয়ে আমার মতামত নিম্নে যুক্তিসহ তুলে ধরা হলাে-

দুর্যোগ মােকাবিলা/নাগরিক জীবনের সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রের করণীয়

নাগরিক অধিকার একরকমের অধিকারের শ্রেণী যা সরকার, সামাজিক সংগঠন ও বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারা লঙ্ঘনের থেকে একজন ব্যক্তির রাজনৈতিক স্বাধীনতা রক্ষা করে। একজন যাতে বৈষম্য বা নিপীড়ন ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের বেসামরিক ও রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করে। নাগরিক অধিকার অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের শারীরিক ও মানসিক সততা, জীবন ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, জাতি, লিঙ্গ, জাতীয় মূল, রঙ, বয়স,রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, জাতিভুক্তি, ধর্ম বা অক্ষমতার ভিত্তিতে বৈষম্য থেকে সুরক্ষা এবং একক অধিকার যেমনঃ- গােপনীয়তা এবং চিন্তার স্বাধীনতা, বাকশক্তি, ধর্ম, প্রেস, সমাবেশ, এবং আন্দোলনের স্বাধীনতা থেকে সুরক্ষা।

| একটি দেশের যেকোনাে নাগরিক সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরী। কেননা রাষ্ট্র হয়তাে কিছু নীতিমালা জারি করতে পারে। কিন্তু নাগরিকরা যদি তা অমান্য করে তাহলে সে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিক যদি রাষ্ট্রের নীতিমালাগুলাে মেনে চলে রাষ্ট্রকে সাহায্য করে, তাহলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। একইভাবে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মােকাবিলায় রাষ্ট্র ও নাগরিকদের একসাথে এর মােকাবেলা করা অত্যাবশ্যক।

নাগরিকদের যেকোনাে সমস্যা মহামারী/দুর্যোগে সরকারকে পূর্ব প্রস্তুতি এবং পরবর্তী অবস্থার ব্যাপারে আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। কোভিড ১৯ এর কারণে সারা বিশ্বে একভীতি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। করােনা এখন বৈশ্বিক সমস্যা।

করােনার বিস্তার রােধে রাষ্ট্রের কিছু বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। যেমন:

  • মহামারী দুর্যোগ সমস্যাটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট সচেতন ও সতর্ক করা এবং এর মােকাবেলায় রাষ্ট্রের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া।
  • নাগরিকদের যেকোনাে সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের পাশে থাকা।
  • ত্রাণ অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক সাহায্য ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের কাছে পৌছানাে নিশ্চিত করা।
  • জনসাধারণের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করা, যাতে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে।
  • ক্ষতিগ্রস্ত জনগােষ্ঠীর মানসিক, অর্থনৈতিক ও ভৌত কল্যাণ সাধনসহ তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আক্রান্ত এলাকায় স্বাভাবিক জীবন, জীবিকা ও কর্ম পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।

সমস্যা সমাধানে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

যেকোন মহামারী বা দুর্যোগে সরকার ও রাষ্ট্রের যেমন কিছু করণীয় রয়েছে, তেমনি সুনাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। যেমনঃ

১) প্রথমত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে রাষ্ট্রের যে কোন দুর্যোগ/সমস্যা বা মহামারীতে নাগরিকের দায়িত্ব হলাে নিজে আতঙ্কিত না হওয়া এবং অন্যদের আতঙ্কিত না এরা। পাশাপাশি নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা।

২. রাষ্ট্রকর্তৃক বিধিনিষেধ মেনে চলা এবং অন্যকে মেনে চলতে উৎসাহী করা।

৩. সমস্যার মােকাবিলায় রাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলাে সম্পাদনে যথাসাধ্য সহায়তা করা।

৪. মহামারীতে আক্রান্ত হলে যথাযথভাবে চিকিৎসা নেওয়া।

৫. পরিষ্কার পরিছন্নতা, নিজের ও পরিবারের যত্ন নেওয়া, সঠিক নিয়মে সরকারি সায্য নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া।

৬. এই রকম পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব ছড়ানাে থেকে বিরত থাকা। একমাত্র সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সংবাদে বিশ্বাস রাখা।

 করােনাকালে রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ

১. লকডাউন পলিসি: বাংলাদেশে যখন করােনায় আক্রান্ত রােগী ধরা পড়েছে ঠিক তার পরপরই সরকার ও পুরাে দেশের লােকজন লকডাউন পলিসি চালু করেছে। অর্থাৎ জনসাধারণ প্রয়ােজন ছাড়া ঘরবাড়ি থেকে বের না হওয়া এবং অতীব প্রয়ােজনীয় বিষয় যেমন কাঁচাবাজার, খাবার ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরী যেসব সেবা আছে তা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খােলা রাখার নির্দেশ জারি করেছে। ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলােতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী মােতায়েন করেছে।

২.বাহিরের কার্যক্রম কমিয়ে আনা: এ সময়ে যদি কোন অফিস-আদালতে প্রয়ােজনীয় কাজ কর্ম করতে হয় তাহলে তা অনলাইনে সম্পাদন করা। সরকার কর্তৃক জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গণপরিবহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।জনগণের প্রয়ােজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৩. আর্থিক সহায়তা: করােনাভাইরাস জনিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে দরিদ্র জনগােষ্ঠীর অন্নসংস্থার অসুবিধা নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা, যােগযােগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা প্রদান করা ইত্যাদি।

৪. স্বাস্থ্য সেবা: করােনা ভাইরাসের (covid-19) শনাক্তের পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত করতে পরীক্ষাকেন্দ্র বৃদ্ধির কাজ করছে। সরকার। বর্তমানে দেশের ৬৮ টি স্থানে করােনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় ১০ হাজার ৫০ টি সহ সারাদেশে ১৪ হাজার ৫৬৫ টি আইসােলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর জন্য অ্যালকোহল, করােনা টেস্ট কিট, টেস্ট ইনস্ট্রমেন্ট, জীবানুনাশক, মাস্ক প্রটেক্টিভ গিয়ারসহ মােট ১৭ ধরনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির ঘােষণা দিয়েছে রাজস্ব বাের্ড এনবিআর।

চলমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও নাগরিক এর ভূমিকা

যদিও করােনা মােকাবেলায় বাংলাদেশও অন্যান্য দেশের মতাে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবুও আমার মতে এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও নাগরিকের ভূমিকা যথার্থ নয়। নিচে আমার মতামতের ভিত্তিতে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দেওয়া হলােঃ

১. সব বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরেই স্ক্রিনিং হচ্ছে বলে সরকারের দাবি। তবে বাস্তবে তার প্রমাণ মেলে না। কারণ বিদেশ থেকে আসা কেউ কেউ স্ক্রিনিং ছাড়াই দেশে ঢুকে যাচ্ছেন। এলাকায় গিয়ে ঘুরছেন। স্থানীয় লােকজন আবার সেই কথা জেনে পুলিশে খবর দিচ্ছে। আর শুধুমাত্র শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এর জন্য থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও তা এখন নষ্ট (সূত্র: ডয়চে ভেল -৩ মার্চ, ২০২০)

২. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গণবিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে কিছু প্রবাসী বা তাদের সংস্পর্শে যারা আসছেন, তারা কোয়ারেন্টাইন এর শর্ত সঠিকভাবে মানছেন না। অনেকেই মিথ্যা ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের সবাইকে আইনঅনুযায়ী এবং সংক্রামক রােগ প্রতিরােধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন২০১৮-এর শর্ত পালন করার অনুরােধ করেছে।

৩. চিকিৎসা মন্ত্রণালয়ের বিশাল গাফিলতির প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। বহুসংখ্যক রােগী হওয়ার কারণে অনেক হসপিটালে নতুন রােগীদের ভর্তি করাচ্ছেননা। আবার কিছু কিছু হসপিটাল রােগীদের অসহায়ত্বের সুযােগ নিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা চেয়ে বসছে।

করােনার মত মহামারীতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদের সমানভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত। কেননা করােনার বিষয়টি শুধু রাষ্ট্রের নয়; নাগরিকদের অবহেলার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করােনার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ বহুসংখ্যক করােনার ভ্যাকসিন আমদানি করেছে, তবুও বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক এই করােনার জন্য সতর্ক থাকা উচিত। অন্যথায়, বাংলাদেশের সব দিক থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।

বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৩য় নির্ধারিত কাজ মূল বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবনের জন্য পানি থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন: প্রজ্ঞা তার বাবার সাথে বুড়িগঙ্গা নদীতে। নৌকায় করে বেড়াতে গেল। দাদা। বাড়িতে যাওয়ার সময় নদীর পাড়ের যে ছবি তার মনে গেঁথে ছিল তার সঙ্গে এই মুহুর্তে দেখা চিত্রের সঙ্গে কোন মিল খুঁজে পেল না। নদীর কোন পাড় নেই, আছে অসংখ্য দালান কোঠা, দোকান পাট, শিল্প কারখানা। পানির রঙ একেবারেই কালাে, দুর্গন্ধময়। যে বিশুদ্ধ বাতাস নেবার উদ্দেশ্যে সে বের হয়েছিল, উল্টো দুর্গন্ধে তার দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগলাে। প্রজ্ঞার খুব মন খারাপ হল। দেশের এত বড় নদীর এই দুরবস্থা।

ক) বুড়িগঙ্গা নদীর পানি মাছসহ অন্যান্য জীব বসবাসের জন্য উপযুক্ত কি না? ব্যখ্যা কর।
খ) বুড়িগঙ্গার পাড়ে যদি কোন ফসলী জমি থাকে তাহলে তার সেচ কার্যক্রম কি বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে করা সম্ভব? তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
গ) বুড়িগঙ্গাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তুমি কি করতে পারাে? উপস্থাপন কর।

6-9-Assignment11week-compressed-10

নমুনা উত্তর

বুড়িগঙ্গাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জনগণের সহায়তায় করণীয়

দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়, সীমাহীন দূষণের কারণে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা এখন মৃত নদী। এ নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বসবাসের জন্য প্রতি লিটার পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ৫ মিলিগ্রাম বা তার বেশি থাকা প্রযােজন। অন্যদিকে দ্রবীভূত হাইড্রোজেনের মাত্রা কমপক্ষে ৭ মিলিগ্রাম থাকা উচিত। অথচ বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ দশমিকের ঘরে। এ অবস্থায় বুড়িগঙ্গায় প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকার কোনাে সম্ভাবনা নেই।

ক. বুড়িগঙ্গা নদীর পানি মাছসহ অন্যান্য জীবের বসবাসের অনুপযুক্ত নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলাে : 

আমাদের পরিবেশে যে সকল প্রাণী আছে তাদের মধ্যে জলজ প্রাণীর জন্য | পানির প্রয়ােজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। জলজ প্রাণী জলে বাস করে জলজ পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে। জলেই বংশবিস্তার করে এবং বেশিরভাগ জলজ প্রাণী জল থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন পেয়ে থাকে। জলজ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মাছ। পানি থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে, পানিতে বংশ বৃদ্ধি করে এবং মাছ ফুলকার সাহায্যে পানিতে দ্রবণীয় অক্সিজেন গ্রহণ করে। শহরের ঘরবাড়ি ও নদৰ্মার ময়লা আবর্জনা এবং শিল্প কারখানা থেকে নির্গত প্রাণী ও উদ্ভিদ
আবর্জনাগুলাে হচ্ছে জৈব আবর্জনা। সবচেয়ে বেশি শিল্পজাত বর্জ্য নির্গত হয় চিনি, খাবার, কাগজ ও চামড়ার কলকারখানা থেকে। ওই সকল জৈব পদার্থ পার্শ্ববর্তী জলাধার ও নদনদীর পানিকে দূষিত করে। খনি ও কলকারখানার ময়লা আবর্জনা, তৈল উত্তোলন ও পরিশােধন ক্ষেত্র, কৃষি | ক্ষেত্র ইত্যাদি উৎস থেকে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। পানিতে পচনশীল জৈব পদার্থের পরিমাণ যত বেশি হয়, সেগুলােকে বিশ্লিষ্ট করার জন্য তত অধিক পরিমাণ অক্সিজেনের প্রযােজন হওয়ায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়,যা জলজ। প্রাণীর জীবনধারণের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমতাবস্থায় জলজ জীবের মৃত্যুও ঘটতে পারে। আর এ কারণেই বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে মাছের পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানি ও উৎকট গন্ধ থেকে
আশপাশের এলাকার জনগােষ্ঠীর মধ্যে চর্মরােগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল | রােগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। তাই বলা যায় যে, বুড়িগঙ্গা নদীর । পানি সহ অন্যান্য জীবের বসবাসের অনুপযুক্ত।

খ. বুড়িগঙ্গার পাড়ে যদি কোন ফসলি জমি থাকতাে তবে তার সেচ কার্যক্রম বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে করা সম্ভব নয়। নিচে আমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলাে:

পানি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ থেকে শুরু করে কৃষি শিল্প | ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই পানির নিদিষ্ট মান যদি না থাকে | তবে জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর হবে, তেমনি
কৃষিক্ষেত্রে এর ব্যবহার হবে ক্ষতিকর। কৃষিতে সেচকাজে খাল-বিল, নদী | বা ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হয়। কৃষিতে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করা যায় না। শহরের ঘরবাড়ি ও নদৰ্মার ময়লা-আবর্জনা এবং শিল্প কারখানা থেকে | নির্গত শিল্পজাত বর্জ্য; বিশেষ করে চামড়ার কারখানা থেকে নির্গত আবর্জনা বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত করছে। শিল্প বর্জ্য দিয়ে দূষিত পানি সেচ কাজে ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা নষ্ট করে দিতে পারে। সেই সাথে উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সুতরাং বলা যায়, বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে ফসলি জমিতে সেচ কার্যক্রম করা সম্ভব নয়।

গ. বুড়িগঙ্গাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আমি যা করতে পারি তা উপস্থাপন করা হলােঃ

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমাদের পক্ষে একদিনও চলা সম্ভব নয়। প্রতিদিন প্রায় সব ধরনের কাজে আমরা পানি ব্যবহার করে থাকি। আবার বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই কৃষিকাজে সেচের জন্য দরকার হয় পানি। অর্থাৎ পানি ছাড়া কোনভাবেই উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশ শিল্পে অত্যন্ত উন্নত। এমন কোন শিল্প কারখানা নেই, যেখানে পানির প্রযােজন হয় না। তাই বলা হয়ে থাকে, উন্নয়ন ও পানি; একে অপরের পরিপূরক। মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে ঢাকা শহরের বাসাবাড়ী ও নদৰ্মার ময়লা আবর্জনা এবং চামড়া কারখানা থেকে নির্গত আবর্জনা বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত করছে।

ঘ. যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-

  • সর্বস্তরের মানুষকে পানি দূষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া প্রযােজন এবং এর প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহ চিত্র জনসাধারণের নিকট তুলে ধরা প্রয়ােজন। প্রয়ােজন বােধে লিফলেট, পােস্টার, সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম বা জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলাে ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি।।
  •  শহর ও বাসা বাড়ির আবর্জনা ও নদৰ্মার বর্জ্য, নদ-নদী, খাল-বিল গড়িয়ে পড়ার আগে শােধন করা উচিত। এ জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির এবং প্রয়ােজনবােধে কমিটি গঠন করে আইন তৈরি করা ও আইন অমান্যকারীকে আর্থিক জরিমানার ব্যবস্থা করা।
  •  নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত রাখা অত্যাবশ্যক। নদীর তলদেশে যাতে পলি জমতে না পারে সে জন্য নিয়মিত ড্রেজিং প্রয়ােজন।
  •  কৃষি জমিতে জৈব সার এবং পরিমিত পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়ােগ করা উচিত। ফলে অতিরিক্ত সার জলাশয় এর পানিকে দূষিত করতে পারবে না।
  • শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য পার্শ্ববর্তী জলাশয় ও নদ-নদীতে পড়ার পূর্বে শােধন করা প্রয়ােজন।
  •  খােলা মাটিতে রাসায়নিক দ্রব্য, রং অথবা গাড়ির তেল কখনাে ফেলা উচিত নয়। কেননা এ সমস্ত দ্রব্য মাটি চুয়িয়ে ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত করে।
  • কীটনাশক, ছত্রাক নাশক ও আগাছানাশক এর যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে কৃষকদের সাথে আলােচনা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
  • রান্নাঘরের নিষ্কাশন, নালায় ও টয়লেটে রাসায়নিক বর্জ্য বা তেল না ফেলতে শহরের মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি।

জনসচেতনতাই পারে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ হতে রক্ষা করতে। সর্বোপরি, সকল স্থানীয় লােকদের সহায়তায় বুড়িগঙ্গাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

ক্যারিয়ার শিক্ষা

১। তােমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নিম্নের ছকে লিখ।

আমার বাবা ও মায়ের কাজের তালিকা

বাবা মা
  • শিক্ষকতা
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • ব্যাবসায়
  • বাগান করা
  • কৃষি কাজ করা
  • শিক্ষক
  • ব্লগিং করা
  • বাগান করা
  • হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু পালন
  • সবজি চাষ

পেশাঃ পেশা মূলত এমন কাজ যার জন্য ব্যক্তির বিশেষ ধরনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়ােজন হয়। যেমনঃ ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষকতা, নার্সিং, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি।

বৃত্তিঃ বৃত্তি হলাে এমন একটি কাজ যা দ্বারা কোনাে ব্যক্তি বিশেষ কোনাে শিক্ষা বা দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ ছাড়াই অর্থ উপার্জন করতে পারে। যেমনঃ বাগান করা, কৃষি কাজ, মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন, হাঁস মুরগি পালন, ফুলের চাষ, কুটির শিল্প ইত্যাদি ।

আমার বাবা-মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারন করে নিম্নের ছকে লেখা হলােঃ

কাজের বিবরণ বৃত্তি
 মায়ের
  • বাগান করা
  • হাঁস মুরগি পালন
  • সবজি চাষ
  •  শিক্ষকতা
  • ব্লগিং করা
বাবার
  • ব্যবসায়
  • বাগান করা
  • কৃষি কাজ করা
  • শিক্ষকতা
  • ফ্রিল্যান্সিং

২। তুমি ভবিষ্যতে কী হতে চাও? কেন? তােমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে কী কী যােগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে কর তা লিপিবদ্ধ কর।।

আমি ভবিষ্যতে আদর্শ শিক্ষক / ডাক্তার হতে চাই। নিম্নে আমার শিক্ষক /ডাক্তার হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হলােঃ

শিক্ষক

আমার সমাজজীবনে একদিকে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতার বেড়াজাল কাটেনি, অন্যদিকে ভােগবিলাসিতা, পরিভােগপ্রবণতা ও স্বার্থসর্বস্বতার প্রভাব সমাজে বাড়ছে। তার মধ্যে আজ খুব দরকার দেশব্রতী, সমাজব্রতী, মানবব্রতী শিক্ষার প্রসার। কারণ, এ ধরনের শিক্ষা ছাড়া সমাজের নৈতিক অধঃপতনের অধােমুখী প্রবল ধারাকে ঠেকানাে যাবে না। সেদিক থেকে আজকের দিনে যথার্থ শিক্ষকতা একটা চ্যালেঞ্জ। পারিপার্শ্বিক নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা মােকাবেলা করে চালাতে হবে মানবব্রতী শিক্ষা কার্যক্রম।তাই আমি আদর্শ শিক্ষক হতে চাই।

ডাক্তার

আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষই গ্রামাঞ্চলে অথবা মফস্বল এলাকায় বসবাস করেন। এইসব প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রােগব্যাধির চিকিৎসার সুযােগ খুবই অপ্রতুল, বেশিরভাগ মানুষই বিনা চিকিৎসায় মারা যান, বছরের বেশিরভাগ সময়েই তাঁরা নানান রকম রােগব্যাধিতে ভােগেন এইসব অঞ্চলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যেমন দুর্বল, তেমনই অপ্রতুল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, এবং নার্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ।এইসব এলাকার মানুষের মনে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণাও নেই। তারা বেশিরভাগ সময়েই নানান। ধরনের কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নিজেদের স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করে ফেলেন। এইসমস্ত মানুষের মনে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তােলাও আমাদের কর্তব্য। শুধু গ্রাম বা মফস্বলি মানুষের জন্যই নয়, শহরাঞ্চলের মানুষেরও রােগভােগ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের পাশাপাশি। তাই শুধু গ্রামের মানুষই নন, যেকোন মানুষের যেকোন শারীরিক সমস্যায় তাদের রােগভােগে তাদের সেবা করতে চাওয়া থেকেই আমার এই লক্ষ্য নির্বাচন।

আমার ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের জন্য যে যে যােগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে আমি মনে করি তা নিম্নে উল্লেখ করা হলােঃ

শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রয়ােজনীয় যােগ্যতা একজন ভালাে শিক্ষক হতে হলে আমাকে নিম্নলিখিত যােগ্যতাগুলাে অর্জন করতে হবেঃ

  • প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা/ একাডেমিক শিক্ষা যেমনঃ স্নাতক/ সম্মান(অনার্স) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন।
  • পেশাভিত্তিক শিক্ষা যেমন| বি. এড/ বি. পি. এড/ বি. এগ. এড/ এম. এড ডিগ্রী অর্জন।
  • আইসিটিতে দক্ষ হওয়া।(কম্পিউটার প্রশিক্ষণ)
  • পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ।
  • বাচনভঙ্গি সুস্প হওয়া
  • পাঠদানের কৌশল আয়ত্ত করা
  • যেকোনাে বিষয়বস্তু সৃজনশীলতার সাথে সহজভাবে উপস্থাপন করার

ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রয়ােজনীয় যােগ্যতা একজন ভালাে ডাক্তার হতে হলে আমাকে নিম্নলিখিত যােগ্যতা গুলাে অর্জন করতে হবেঃ

  • প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা একাডেমিক শিক্ষা যেমনঃ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আমাকে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ভালাে নম্বরের সাথে পাস করতে হবে। এরপর আমাকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সফলতার সাথে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
  • পেশাভিত্তিক শিক্ষা যেমন- DM /MCM/ MPhil/ DCM ইত্যাদি ডিগ্রী অর্জন।
  • আইসিটিতে দক্ষ হওয়া।(কম্পিউটার প্রশিক্ষণ)
  • পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ।
  • ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া

নিম্নের বিষয়গুলি অবশ্যই আমার মধ্যে থাকতে হবেঃ

  • বিশ্লেষণাত্মক
  • যৌক্তিক
  • সাহসী
  • পদ্ধতিগত
  • বৌদ্ধিক ক্ষমতা
  • উদার
  •  বিচক্ষণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ
  • সহায়ক।
  • বিশদ মনােযােগী

৩। তুমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বা খেলবে তখন কোন কোন বিষয়গুলাে খেয়াল রাখবে? এতে তুমি কী কী সুবিধা পাবে?

দলে কাজ করা বলতে বুঝায় বয়স, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বিভিন্ন মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা।

আমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবাে বা খেলবাে তখন যে যে বিষয়গুলাে খেয়াল রাখবােঃ

  • দলের সদস্যদের ভালাে গুণ সম্পর্কে ধারণা রাখবাে
  • নিজের গুণাবলী ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকবাে
  • দলের লক্ষ্যকে সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরবাে ঐকমত্যে কাজ করব।
  • সবসময় অন্যকে সাহায্য করবাে

দলে কাজ করার ক্ষেত্রে আরাে যে যে বিষয়গুলাে খেয়াল রাখব-

নেতৃত্ব দেওয়া, অন্যদের পরামর্শ দেওয়া, অনুপ্রেরণা জোগানাে, বিভিন্ন মতামতকে শ্রদ্ধা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানাে, সাফল্য অর্জনে দলগতভাবে অংশগ্রহণ ইত্যাদি।

এতে করে আমি যে যে সুবিধা পাব তা নিম্নে উল্লেখ করা হলােঃ

  • নিজের যােগ্যতা যাচাই করা যাবে
  • নেতৃত্বের গুণাবলী বৃদ্ধি পাবে।
  • সুষ্ঠু সামাজিকীকরণ সম্ভব হবে।
  • সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়বে।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি  পাবে
  • দলের ভিতর বিশৃংখলা দূর করা যাবে
  • দলে নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

“প্রকৃতি ও বিশ্বজগতের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা” শিরােনামে তােমার পাঠ্য বইয়ের ভিত্তিতে এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে একটি নিবন্ধ রচনা কর। (সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ)

উত্তর খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

তােমার হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা : পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ে বর্ণিত দেব-দেবীর মধ্যে যেকোনাে ২জন দেবতার উপাসনা কর উপাসনা শেষে নিম্ন লিখিত সংকেত ব্যবহার করে ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

সংকেত : ১. দেব-দেবীর নাম ২.আরাধনার প্রস্তুতি ও উপকরণ ৩.মন্ত্র ৪.আরাধনার উপায়। ৫.আরাধনা শেষে তােমার শারীরিক ও মানসিক অনুভূতি ৬.এই আরাধনার কেন প্রয়ােজন।

উত্তর খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

খ্রিষ্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

কোভিড ১৯-এর ভয়াবহতার এই সময়টিতে তুমি বিদ্যালয়ে যেতে পারছােনা। তােমার স্বাভাবিক জীবনযাপন কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তােমার কর্মপদ্ধতি এমন হওয়া প্রয়ােজন যাতে তুমি স্বাধীন ও মুক্ত জীবনে প্রবেশ করতে পার।

তােমার দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী অনুযায়ী ১ সপ্তাহের ভালাে ও মন্দ কাজের তালিকা তৈরি কর।

উত্তর খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

বৌদ্ধধর্ম ও ও নৈতিক শিক্ষা

সিদ্ধার্থ গৌতমের বাল্য জীবনের বিভিন্ন ঘটনা থেকে তাঁর চরিত্রের যে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছ তা ক্রমানুসারে ও নিজের ভাষায় লিপিবদ্ধ কর ।

সংকেত:  ১। হলকর্ষণ উৎসব ২। শিকারে যাওয়া ৩। রােহিণী নদীর পানি সংকটের সমাধান ৪। তীর বিদ্ধ হাসের ঘটনা

উত্তর খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

নবম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হয়েছে । এই সপ্তাহে পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান,বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা,জীব বিজ্ঞান, ফিনান্স ব্যাংকিং ও পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে । নিচে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল –

পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 

পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

পদার্থ বিজ্ঞান অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 

* কাল্পনিক তিনটি (মূলধন আনায়ন সংক্রান্ত , সম্পত্তি ক্রয় সংক্রান্ত, খরচ প্রদান সংক্রান্ত) লেনদেন লেখ এবং হিসাবখাত উল্লেখ করে হিসাব সমীকরণে প্রভাব একটি ছকে উপস্থাপন কর।। তােমার পরিবারের ৫টি লেনদেন ও ৫টি লেনদেন নয় এমন ঘটনা উল্লেখ কর।

পদার্থ বিজ্ঞান অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট 

বিশ্বসভ্যতা বিকাশে গ্রিক ও রােমান সভ্যতার ভুমিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রচনা কর। (২৫০-৩০০ শব্দ)

ইতিহাস অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

জীব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 

কাগজ, সুতা এবং রং ব্যবহার করে একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষের মডেল প্রস্তুত কর।

জীববিজ্ঞান অংশের উত্তর ডাউনলোড করুন এখান থেকে 

ফিনান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট 

কেস স্টাডি : X লিমিটেড ,Y লিমিটেড ও Z লিমিটেড তিনটি একই ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান X লিমিটেড এর অধিক  মুনাফা অর্জন হলেও পাওনাদারদের দাবী মেটাতে প্রায়শই বিরােধ সৃষ্টি হয়। Y লিমিটেড এর আয়ের তুলনায় মূলধন খরচ অধিক। Z লিমিটেড অন্যান্য বছর ভালাে মুনাফা অর্জন করলেও কোভিড – ১৯ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়টি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কেস স্টাডিটির ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

(প্রতিবেদনে ভূমিকা, অর্থায়নের নীতির ব্যাখ্যা, কোন প্রতিষ্ঠানে কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে তার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ সুপারিশ ও উপসংহার থাকবে।)

 

পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট 

‘রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও রাষ্ট্র গঠনের উপাদান’এই শিরােনামে নিম্নের সংকেত অনুসরণ করে সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ।

সংকেত:

১। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে তােমার দৃষ্টিতে অধিক গ্রহণযােগ্য মতবাদ।

২। মতবাদটি অধিক গ্রহণযােগ্য মনে হওয়ার যৌক্তিক কারণ

৩। রাষ্ট্র গঠনের উপাদান সমূহ

৪। তােমার দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

৫। উক্ত উপাদানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার যৌক্তিক ব্যাখ্যা

 

 

৮ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

বাংলা এসাইনমেন্ট 

বঙ্গবাণী ও কপােতাক্ষ নদ উভয় কবিতাতেই মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে” – মন্তব্যটির স্বপক্ষে তােমার যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।

উত্তর :

সূচনাঃ বাংলা সনেট এর প্রবক্তা মাইকেল মদুসূদন রচিত চতুদর্শপদী কবিতাবলীর অন্তগর্ত কপােতাক্ষ নদ’ এবং মধ্যযুগের বাংলা কাব্যসাহিত্যের অন্যতম কবি আব্দুল হাকিম রচিত নূরনামা কাব্যগ্রন্থের অন্তগর্ত ‘বঙ্গবাণী’ উভয়
কবিতাতেই মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার স্বরূপ দেখতে পাই। | মধ্যযুগীয় পরিবেশে বঙ্গভাষী এবং বঙ্গভাষার প্রতি এমন বলিষ্ঠ বাণীবদ্ধ কবিতার নিদর্শন দুর্লভ। কপােতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কবির চতুর্দশপদী কবিতাবলি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এই কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।

উপরে উল্লেখিত মন্তব্যটির সাথে আমি একমত পােষণ করছি এবং কেন করছি তাৰু স্বপক্ষে আমার মতামত নিন্মের আলােচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করছি।

দেশপ্রেম-

দেশপ্রেম হল নৈতিক, পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক নীতি, যার যার নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালবাসার উপর ভিত্তি করে একটি বােধ, পাশাপাশি পিতৃভূমির স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। দেশপ্রেম শব্দটি এসেছে গ্রীক ভাষা থেকে।

বঙ্গবাণী কবিতায় দেশপ্রেমের স্বরূপ-

বঙ্গবাণী কবিতায় কবি আব্দুল হাকিম তাঁর মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন তার লেখনীর মাধ্যমে। কবি বঙ্গবাণী কবিতা

লেখার সময় অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, বাংলা ভাষায় গ্রন্থ রচিত না হলে সাধারণ মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। মানুষের নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর কৃপা পাওয়ার সমান অধিকার রয়েছে আর আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট সব পশু পাখি ও মানুষের ভাষাই বুঝতে পারেন। কবি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় তাঁর গভীর উপলব্ধি ও বিশ্বাসের কথা নির্দ্বিধায় ব্যক্ত করেছেন। আরবি ফার্সি ভাষার প্রতি কবির মােটেই বিদ্বেষ নেই। এইসব ভাষায় আল্লাহ ও মহানবীর স্মৃতি বণির্ত রয়েছে। তাই এসব ভাষার প্রতি সবাই পরম শ্রদ্ধাশীল। যে ভাষা জনসাধারণের বােধগম্য নয়, যে ভাষায় অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় করা যায় না সেসব ভাষাভাষী লােকের পক্ষে মাতৃভাষায় কথা বলা বা লেখাই একমাত্র পন্থা। একারণেই কবি মাতৃভাষায় গ্রন্থ রচনায় মনােনিবেশ করেছেন। তাই কবি নিজ ভাষায় কাব্য রচনায় এবং ধর্মীয় উপাসনার পক্ষে তার মতামত প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, মারফত সম্পর্কে যারা অজ্ঞ তারাই হিন্দুয়ানি ভাষাজ্ঞানে বাংলা ভাষার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে। বাংলার মাটিতে জন্মে যারা বাংলা ভাষার প্রতি বিরূপ মনােভাব পােষণ করেন তাদের জন্মপরিচয় নিয়ে এই কবিতার মাধ্যমে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। অর্থাৎ কবির এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে তিনি তার দেশ ও ভাষাকে কতটা ভালবাসতেন। বঙ্গবাণী কবিতায় কবি স্বভাষার বিরােধিতাকারীদের এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিদেশি ভাষার প্রতি অনুরাগীদের কবি প্রছন্দ করেন না। আত্নবিশ্বাসী কবি বিশ্বাস করেন, বাংলা ভাষায় যত উপদেশ বাণী রচিত হবে তা আমাদের মনকে পুনঃপুন জাগিয়ে তুলবে।

কবি বলেছেন,

“হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিভিধ রতন;
তা সবে, (অবােধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন লােভে মত, করিনু ভ্রমন পরদেশে,
ভিক্ষাবৃত্তি কী কুক্ষণে আচরি।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই কবির দেশের প্রতি অপরিসীম প্রীতি ও ভালবাসা প্রকাশ পায়। বংশানুক্রমে বাংলাদেশেই আমাদের বসতি, বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্য আমাদের মর্ম স্পর্শ করে। এই ভাষার চেয়ে হিতকর আর কি হতে পারে ।

কপােতাক্ষ নদ কবিতায় দেশপ্রেমের স্বরূপ-

‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি যশােরের সাগরদাঁড়ির পাশ দিয়ে কুলকুল ধ্বনিতে বয়ে যাওয়া কপােতাক্ষের প্রতি তাঁর গভীর প্রেমবােধের পরিচয় দিয়েছেন। বিদেশে বসে কবি তার জন্মভূমির শৈশব-কৈশােরের বেদনাবিধুর স্মৃতি রােমন্থন করেছেন, হযেছেন কাতর। জন্মভূমির এ নদ যেন। কবিকে মায়ের স্নেহডােরে বেঁধেছে, তাই কিছুতেই এই নদকে তিনি ভুলতে পারেন না। মাতা , মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি মানুষের টান থাকে শৈশব থেকেই। একটি সংস্কৃতি শ্লোকে বলা হয়েছে ‘জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী’ অর্থাৎ জননী জন্মভূমি স্বর্গের চেয়ে গরীয়ান। তাই মানুষ তার জন্মভূমিকে কোনদিন ভুলে না। কপােতাক্ষ নদের কাছে কবি সবিনয় মিনতি-বন্ধুভাবে তাকে তিনি স্নেহাদরে যেমন স্মরণ করেন, কপােতাক্ষও যেন একই প্রেমভাবে তাঁকে সস্নেহে স্মরণ করে। কপােতাক্ষ নদ যেন তার স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা বঙ্গবাসীদের নিকট ব্যক্ত করে। স্বদেশের জন্য হৃদযের কাতরতা, কবি এই কবিতার মাধ্যমে বঙ্গবাসীর কাছে ব্যক্ত করেছেন। কবির এই মাতৃভূমির প্রতি ভালােবাসা ও স্মৃতিকাতরতা ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতার প্রধান উপজীব্য বিষয়।

কবি তার দেশকে স্বরণ করে বলেছেন;

‘প্রজারূপে রাজরূপ সাগরের দিতে
বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে’

উপসংহারঃ উপরােক্ত আলােচনার মাধ্যমে একথা আরও সুস্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, আমার পাঠ্যবইয়ে রচিত “বঙ্গবাণী’ ও ‘কপােতাক্ষ নদ’ এই দুইটি কবিতাই মূলত মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেমেরই বহি:প্রকাশ।

এই উত্তরটি ছবিসহ ডাউনলোড করুন এখান থেকে

উচ্চতর গণিত এসাইনমেন্ট 

এমন দুইটি ত্রিমাত্রিক বহুপদী P(x) ও | Q(x) নির্ণয় কর যাদের একটি সাধারণ উৎপাদক (x – 2), ধ্রুবপদ 24 এবং অন্য উৎপাদকগুলাে একমাত্রিক। বহুপদী দুইটির একটিকে হর ও অপরটিকে লব ধরে গঠিত ভগ্নাংশটিকে আংশিক ভগ্নাংশে প্রকাশ কর।

উচ্চতর গণিত অংশের উত্তর দেখুন করুন এখান থেকে

কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট 

একজন ধানচাষী চটের বস্তায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বপন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়। অন্যদিকে এক জন দুগ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলােকে কাঁচা ঘাস সরবরাহ করেন। কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলাে মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়ে। উপরােক্ত ধানচাষী ও  দুগ্ধ খামারী কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে , বীজ ও ঘাস সংরক্ষণ করলে এ সংকটে পড়তেন না। এ ব্যাপারে তােমার মতামতসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

উত্তর যুক্ত করা সম্ভব হয় নি ।

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 

বর্তমানে তােমার পরিবারে যে সকল সদস্য রয়েছেন তারা বিকাশের কে কোন পর্যায়ে অবস্থান করছেন তা শনাক্ত কর এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলাে বর্ণনা কর। (নিচের প্রশ্নগুলাের ব্যাখ্যা কর।)

১। তােমার পরিবারে কে কে রয়েছে?

২। একটি ছকের মাধ্যমে তারা বিকাশের কে কোন পর্যায়ে রয়েছে তা উল্লেখ করে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরাে।

৩। তুমি কি মনে কর তাদের পর্যায় অনুযায়ী যথাযথ আচরণ করছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর যুক্ত করা সম্ভব হয় নি ।

চারু কারু কলা এসাইনমেন্ট 

তােমার বাসায় যেসব কারুশিল্প রয়েছে, পেনসিলের মাধ্যমে সেগুলাের রেখাচিত্র অঙ্কন কর।

উত্তর যুক্ত করা সম্ভব হয় নি ।

অর্থনীতি এসাইনমেন্ট 

আমরা কি উৎপাদন করবাে? উৎপাদনে কি প্রযুক্তি ব্যবহার করবাে? উৎপাদিত পণ্য কাদের জন্য প্রযােজ্য? – এই প্রশ্নগুলাের উত্তর প্রদানই হচ্ছে একেক দেশের, একেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান কাজ। এ সম্পর্কে ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ ।

উত্তর যুক্ত করা সম্ভব হয় নি ।

৭ম সপ্তাহের সমাধান

  • গণিত এসাইনমেন্ট

কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে কোনাে এলাকার একটি যুবসংঘ, অসহায় ১০০ টি পরিবারে এক সপ্তাহ চলার মতাে খান ও নিত্য প্রয়ােজনীয় সামগ্রী বিতরণের উদ্দ্যেশে ২,১০,০০০ টাকার একটি বাজেট প্রণয়ন করলো। তাই প্রত্যেক সদস্য সমান চাদা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু চাঁদ দেওয়ার সময় ১০ জন সদস্য চাদা দিতে ব্যর্থ হলেন। ফলে প্রত্যেক সদস্যের মথাপিছু চাদা পরিমাণ ৫০ টাকা করে বেড়ে গেল।

নিচের ধাপগুলাের সমাধান কর:

ধাপ ১: যুবসংঘের সকল সদস্য চাঁদা প্রদান করলে, সদস্য সংখ্যাকে x এবং সদস্যদের মাথাপিছু চাদার পরিমাণকে a ধরে মােট চাঁদার পরিমানকে x এর মাধ্যমে প্রকাশ কর।

ধাপ ২: ১০ জন সদস্য চাদা না দেওয়ার ফলে মােট চাঁদার পরিমানকে x এর মাধ্যমে প্রকাশ কর।

ধাপ ৩: ঐ যুবসংঘ সদস্যদের প্রত্যেকের মাথাপিছু চাদার পরিমান নির্ণয় কর।

ধাপ ৪: প্রত্যেক পরিবারের জন্য যুবসংঘেৱ দেওয়া খাদ্য ও নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি উদ্দীপকে উল্লিখিত সময়ের জন্য পর্যাপ্ত কী না? ব্যাখ্যা কর।

গণিত অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

  • রসায়ন বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট

”বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযােগী সম্ভব।” – যে পদ্ধতিতে তুমি লবণকে খাবার উপযােগী করবে তার বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা চিত্রসহ প্রতিবেদন আকারে লিখ।

রসায়ন অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

  • ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট

সৌরজগতের চিত্র অঙ্কন কওে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ”- অনধিক ১০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন লিখ।

উত্তর :

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

আন্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় , নেত্রকোণা ।

বিষয়ঃ “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ”- এই সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ব.বি ১৩-৭ তারিখঃ ১৫ জুন ২০২১ অনুসারে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি। জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ব.বি ১৩-৭ তারিখঃ ১৫ জুন ২০২১ অনুসারে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ” শীষর্ক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি। |

পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনা

সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধুমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগত গঠিত। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। গ্রহগুলাে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। সৌরজগতের যাবতীয় গ্রহ-উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলাে সূর্য। সূর্যকে ভিত্তি করে সৌরজগতের যাবতীয় কাজ-কর্ম চলে। এই মহাবিশ্বের বিশালতার মধ্যে সৌরজগৎ নিতান্তই ছােট। সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে আটটি গ্রহ। এদের মধ্যে পৃথিবী ও মঙ্গল হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি গ্রহ।।

পৃথিবী (Earth):

পৃথিবী আমাদের বাসভূমি। এটি সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলােমিটার। এর ব্যাস প্রায় ১২,৬৬৭ কিলােমিটার। পৃথিবী একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। তাই এখানে ৩৬৫ দিনে এক বছর। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযােগী। সৌরজগতের গ্রহগুলাের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে।

মঙ্গল (Mars):

মঙ্গল পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী। বছরের অধিকাংশ সময় একে দেখা যায়। খালি চোখে মঙ্গল গ্রহকে লালচে দেখায়। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলােমিটার। এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলােমিটার, পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় অর্ধেক। এই গ্রহে দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান। সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে মঙ্গলের সময় লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি। এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমান খুবই কম এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এত বেশি (শতকরা ৯৯ ভাগ) যে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলে ফোবস ও ডিমােস নামে দুটি উপগ্রহ রয়েছে।

মঙ্গলকে কখনাে কখনাে লাল গ্রহও বলা হয়ে থাকে কারণ এর পৃষ্ঠ হচ্ছে লাল রঙের। এর পৃষ্ঠ ধূলিময় এবং এর খুবই পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে। মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা এখনাে মনে করেন। বর্তমানে মানুষ মঙ্গলের সন্ধান করছে এটা দেখার জন্য যে, এটি জীবনকে সমর্থন করে কি না। আর পৃথিবীতে রয়েছে জীবনের জন্য উপযােগী উপকরণ ও পরিবেশ। আর তাই পৃথিবীর অনুরূপ মঙ্গল গ্রহে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য থাকলেও এ কারণেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ মঙ্গলে তাদের বসতি স্থাপন করবে।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ

সাব্বির আহমেদ

নবম শ্রেণি, বিভাগঃ মানবিক,

রােলঃ ০১

আন্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় , নেত্রকোণা ।

প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ১৬ জুন, ২০২১

ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট

ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যবসায়িক পরিবেশ’- বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

 উত্তর:

তারিখঃ ১৫ জুন, ২০২১

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

জেলা স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ

বিষয়ঃ “ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যাবসায়িক পরিবেশ” এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫-১ তারিখ ১৪/৬/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করলাম।

ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যবসায়িক পরিবেশ

সূচনাঃ ব্যবসায়ের যেসব উপাদান ও অবস্থা ব্যবসায় কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে, তাদের সমষ্টিকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে। ব্যবসায়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদানগুলাের সমন্বয়ে ব্যবসায় পরিবেশ গঠিত হয়। যেসব অবস্থা বা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সুনিদিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে সহযােগিতা পায়, তাকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে।

ব্যবসায়ের পরিবেশ সম্পর্কে কয়েকজন মনীষীর সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলাে

অধ্যাপক ফিলিপ কটলারের মতে, “পরিবেশ হলাে সমগ্র শক্তি এবং সত্তার সমন্বিত রূপ, যা বাহ্যিক এবং সম্ভাব্যভাবে কোনাে বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে সম্পর্কযুক্ত।

এন মিশ্রের মতে, “যেসব বাহ্যিক উপাদান ব্যবসায় ও এর ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে, সেগুলাের সমষ্টিকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে” ।

সি বি গুপ্তের মতে,“ব্যবসায় পরিবেশ বলতে বাহ্যিক শক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সমষ্টিকে বােঝায়, যেগুলাে ব্যবসায় কার্যক্রম ও তাদের ব্যবস্থাপকীয় নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে”।

ব্যবসায় পরিবেশের ধারণাঃ ব্যবসায়িক পরিবেশ হলাে ব্যবসায় সংগঠন পরিবেষ্টিত সকল অবস্থা, উপাদান ও শক্তির সমষ্টি যা উক্ত ব্যবসায় বা তার ব্যবস্থাপকের কার্যকারিতা বা সফলতাকেই প্রভাবিত করে। সাধারনত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, সরকারের নতুন নতুন নীতি ও আইন, কর ব্যবস্থা ও কাঠামাে, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক ও অথনৈতিক অবস্থা, জ্ঞান বিজ্ঞান ও শিক্ষার উন্নতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক , অথনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি উপাদান ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ব্যবসায়িক পরিবেশ অনুকূল প্রতিকুল হতে পারে। কোন স্থানের ব্যবসায়ের উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর। পরিবেশ ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের গুরত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশঃ প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনূকুল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত। ছােট বড় মিলিয়ে এদেশে মােট ২৩০ টি নদী রয়েছে। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপন্ন করা সম্ভব। অন্যদিকে নদী পথে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ও খরচ কম। তবে অনেক নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনেক নদীতে চর পড়ে নদী পথ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস এদেশে বিদ্যমান। দেশে বিদ্যমান খনিজ, কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, খনিজ তৈল শিল্প বিকাশের সহায়ক। এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যসহ অথনৈতিক উন্নীত ত্বরান্বিত হবে। অসংখ্য নদী বিধৌত ও সমুদ্রবেস্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এখানে বিদ্যমান রয়েছে।

সামাজিক পরিবেশঃ এদেশের মানুষ জাতিগত ও ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার, পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে, মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এদেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখেছেন। সােনারগাঁয় এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা দীক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক শিল্পে, কার শিল্পে ছিল বিশ্ব সেরা। বর্তমানেও জামদানী শাড়ী তৈরি, বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষ ও সৃজনশীল করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্প বাণিজ্য গবেষণায় আরও বেশী সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে সাথে ব্যবসায় বানিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে পারবে ।

অর্থনৈতিক পরিবেশঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেক গুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়ােজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীন জনগনের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্র শহরের তুলনায় কম। প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণীর লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাংলাদেশ ব্যবসায় বিকাশ আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে। এর জন্য প্রয়ােজন গ্রামে গঞ্জে ব্যাংকিং ঋণ সুবিধা পৌছে দেওয়া এবং সহজ করা।

উপসংহারঃ উপরােক্ত আলােচনায় আলােচিত উপাদানগুলাে অনুকূলে থাকলে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ঘটে। আবার উপরােক্ত পরিবেশের উপাদানসমূহ প্রতিকূল হলে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে অর্থ বিনিয়ােগ করে এবং ব্যবসায় পরিচালনা করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। যা সমাজ, রাষ্ট্র, তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ

সুমাইয়া জাহান

নবম শ্রেণি, বিভাগঃ ব্যবসায় শিক্ষা

রােলঃ ০১

জেলা স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ

প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ১৬ জুন, ২০২১

 

প্রিয় ভিজিটর, এখানে উপস্থাপিত সকল তথ্য উপাত্ত অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত । উল্লেখিত কোন তথ্যের ভুল যদি আপনার নিকট দৃশ্যমান হয় তবে অতিসত্ত্বর তা আমাদের ইমেইলের ([email protected]) মাধ্যমে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।

��তামত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button
error: কন্টেন্ট সংরক্ষিত !!