এসাইনমেন্ট

৭ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও নমুনা সমাধান ২০২১ (১১ তম ও ১০ম সপ্তাহ)

সকল সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ | ৭ম শ্রেণী এসাইনমেন্ট সমাধান মাওশি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট dshe.gov.bd -এ প্রকাশিত হবে। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া সচল রাখতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে , যেভাবে গত বছর করা হয়েছিলো। চলুন, সপ্তম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিই।

৭ম শ্রেণির ১১ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট  নমুনা উত্তর যুক্ত করা হয়ছে ।

৭ম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১

কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালু রাখতে গত বছরের মত এ বছরও এ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে এবং সপ্তাহের শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের উক্ত এ্যাসাইনমেন্ট শেষ করা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। এভাবে ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট ধারাবাহিক ভাবে শেষ করা হবে। চলুন এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাক।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
  • ১১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১
  • মোট বিষয় : ২টি
  • পিডিএফ লিংক

সপ্তম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট নমুনা সমাধান ২০২১

৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সংখ্যক এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। যা প্রতি সপ্তাহের বুধ বা বৃহঃপতি বার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। গাইড থেকে অথবা অন্য কারো লেখা কপি করলে এ্যাসাইনমেন্ট পুনরায় লেখা লাগতে পারে। এজন্য এ্যাসাইনমেন্ট লেখার সময় নিজের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করতে হবে।

আরও দেখুন: সপ্তম শ্রেণির বই পিডিএফ ডাউনলোড

১১ তম সপ্তাহের নমুনা উত্তর

সপ্তম শ্রেণির ১১তম সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হয়েছে । এই সপ্তাহে ইংরেজী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এ দুটি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে । নিচে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল –

ইংরেজী

৭ম শ্রেণির ইংরেজী ৪র্থ এসাইনমেন্ট টপিক মূল বইয়ের Unit-4: People who Make a Difference থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন:  Read the poem attentively and critically. Now
1. Write a summary with a suitable title except “Whose Child is This”
2. Explain whose contribution is the most to build up a child? Give your own reasons.

নমুনা উত্তর

Class-7-English-Assignment-11th-Week-admissionwar-com-1

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)

৭ম শ্রেণির আইসিটি ১ম এসাইনমেন্ট টপিক মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায়- প্রত্যহ জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন: ব্যক্তি, কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযােগ্য ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর। (অনুর্ধ ২৫০ শব্দ)

নমুনা উত্তর

ব্যক্তি, কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযােগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। সমাজ জীবনে আইসিটির প্রভাব কখনাে ইতিবাচক আবার কখনাে নেতিবাচক। বর্তমান বিশ্বে আইসিটির অন্যতম প্রধান একটি সেবা হচ্ছে ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে এখন খুব সহজেই একস্থান থেকে অন্য স্থানে খবর পাঠানাে যায়। নিচে বিভিন্ন ক্ষেত্র গুলাে বর্ণনা করা হলােঃ

ব্যক্তি জীবনে তথ্য প্রযুক্তি

আধুনিক জীবনের সাথে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ওতপ্রােতভাবে জড়িত। সাম্প্রতিককালে তথ্য প্রযুক্তির যে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হয়েছে তা প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই অবদান পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কোন না কোনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি সাধারণ মানুষ। থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বড় বড় কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ হলঃ

  • ব্যক্তিগত যােগাযােগ
  • বিনােদন
  • জিপিএস
  • কম্পিউটার ব্যবহার করে গান শােনা
  • ই-বুক ব্যবহার করে বই পড়া।
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যােগাযােগ
  • মােবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
  • মােবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানাে এবং গ্রহণ করা যায়।
  • অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
  • অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।
  • ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়ােজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশােধ করা যায়।

কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর কারনে প্রযুক্তির ব্যাবহার অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। মহামারি পরিস্থিতে মানুষ গৃহবন্দি থাকলেও যােগাযােগ থেমে ছিল না। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একে অন্নের খবর নিতে পরেছে, অন্যদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে, সামাজিক যােগাযােগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের কোভিড-১৯ এর সম্পর্কে সচেতন করেছে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে। তাছাড়া অসহায় দুঃস্থ মানুষদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সংস্থা কে অনুদান দিয়ে সহায়তা করা। সম্ভব হয়েছে। যােগাযােগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বাসা থেকে অনলাইনে পাঠদান সম্ভব হয়েছে।

সমাজ জীবনে তথ্য প্রযুক্তি

আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলে যােগাযােগ খরচ অন্যান্য যােগাযােগ মাধ্যম যেমন- টেলিফোন, কুরিয়ার সার্ভিস এগুলাের তুলনায় অনেক কম হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ অনেক বেশি তথ্য সেবা পেতে পারে। কারণ, ইন্টারনেটের সংযােগ খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এভাবেই আইসিটি যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করছে। আইসিটির অগ্রগতি ফলে দিন দিন কাগজের ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। আইসিটির প্রভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দূরশীক্ষণ, অনলাইন টিউটোরিয়াল ইত্যাদির মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই লেখাপড়া করা সম্ভব হচ্ছে।

আবার অনেক কাজ কর্মক্ষেত্রে না গিযে ও ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। এর ফলে আসা যাওয়ার সময় ও খরচ বাঁচানাে যাচ্ছে। শুধুমাত্র মিডিয়া ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজ গড়ে তুলেছে একবিশাল কর্মক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমান শহরে জীবন হতে শুরু করে গ্রামের অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত তরুণরাও খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ছােয়া। যা আমরা খােলা চোখে দেখতে পারি না। নিজস্ব সংস্কৃতি আর ইতিহাসের প্রতি সমুন্নত থাকলেই কেবল সকলপ্রকার প্রযুক্তির খারাপ দিক গুলাে এড়িয়ে লাভটা আদায় করে নেওয়া সম্ভব।

তবে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি নির্ভর করছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা ও চেতনার উপর। কেউ ইচ্ছে করলে একে খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার ভালাে কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি সমাজের জন্য একবিরাট আশীর্বাদ। তাই এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, দ্রুত প্রসার এবং উন্নয়ন পৃথিবীকে আরওসুন্দর এবং সমৃদ্ধ করবে।

কর্ম জীবনে তথ্য প্রযুক্তি

কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে তথ্য এবং যােগাযােগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। আধুনিক আইসিটি পণ্য এখন বেশিরভাগ লােকের জন্য সহজেই উপলব্ধ। এগুলির আইপেড। মােবাইল ফোন, ব্যক্তিগত সংগঠক এবং ডিজিটাল টিভি থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট যােগাযােগ প্রযুক্তি, ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পর্যন্ত রয়েছে। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি যেহেতু আরও পরিশীলিত হয়ে উঠেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়ােজনীয় বিশেষ দক্ষতা আর কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অফ শেল্ফ পণ্যগুলি অবিশেষজ্ঞদেরকে নতুন জ্ঞান এবং তথ্য নেটওয়ার্কগুলি তৈরি করার জন্য আইসিটিগুলির সুবিধা নেওয়ার সুযােগ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব জনগণের অ্যাক্সেসকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য এবং জ্ঞানের হস্তান্তরকে এমন একপর্যায়ে সক্ষম করে যা পূর্বে কল্পনাও করা এটি ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি বা অফিস বেস থেকে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ব্যক্তির সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যােগাযােগ করতে সক্ষম করে। ক্যাফে এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে ওয়্যারলেস সংযােগ ল্যাপটপের মাধ্যমে যােগাযােগের আমাদের সুযােগগুলিও বৃদ্ধি করেছে।

সুতরাং বলা যায়, সর্বক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

বিশেষ সতর্কতা : উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া । ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে । উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে । এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার Admissionwar -এর নয় ।

১০ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান

তোমাদের সামাজিক জীবনে প্রচলিত চারটি লােক সাংস্কৃতির উপাদান চিহ্নিত কর এবং এই উপাদানগুলাে তোমার জীবনে কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা বর্ণনা কর।

এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিন্মলিখিত বিষয়গুলাে বিবেচনায় নিতে হবে-

১. লােকসংস্কৃতির সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান

২. প্রচলিত লােকসংস্কৃতির সঠিক উদাহরণ প্রদান।

৩. শিক্ষার্থীর নিজ জীবনের উপর প্রতিফলনের ব্যাখ্যা প্রদান

উত্তর – 

লােকসংস্কৃতি : সংস্কৃতি বলতে বুঝায়, সাধারন মানুষ ও তার সমাজে সংস্কৃতি। অর্থাৎ লােকসমাজে সংস্কৃত লােকসংস্কৃতির বিশেষত্ব নিহিত আছে ‘লােক’ কথাটির মধ্যে। এখানে পারিপার্শ্বিক শব্দ ‘লােক’-এর অর্থ হল মূলত | গ্রামীণ, যার অধিকাংশই কৃষিকেন্দ্রিক জীবিকানির্ভর জনগােষ্ঠী। ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর গ্রামীণ জনগােষ্ঠীর ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস, আচারআচরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জীবন-যাপন প্রণালী, শিল্প ও বিনােদন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা সংস্কৃতিকে সহজ ভাষায় লােকসংস্কৃতি বা সংস্কৃতি বলা হয়।

বাংলাদেশ একটি গ্রামপ্রধান দেশ। গ্রামের বিশাল জনগােষ্ঠী নিজস্ব বিশ্বাস, কর্মপ্রক্রিয়া, বিনােদন ও জীবনপ্রণালীর মাধ্যমে শতশত বছর ধরে যে বহুমুখী ও বিচিত্রধর্মী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, তাই বাংলার লােকসংস্কৃতি নামে পরিচিত। লােকসংস্কৃতির প্রধান উপাদানগুলােকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।

যথাঃ

১) বস্তুগত
২) মানসজাত
৩) অনুষ্ঠানমূলক এবং
৪) প্রদর্শনমূলক।

আমাদের সামাজিক জীবনে প্রচলিত চারটি লােকসংস্কৃতির উপাদান চিহ্নিত করা হলাে এবং এই উপাদানগুলাে আমার জীবনে যে ধরনের প্রভাব ফেলে তা বর্ণনা করা হলােঃ

প্রচলিত লােকসংস্কৃতিঃ  বৃষ্টি নামানাের জন্য সামাজিক জীবনে প্রচলিত লােকসংস্কৃতি যেমন, অনেকদিন খরা হলে অথাৎ বৃষ্টি না নামলে বৃষ্টি নামানাের জন্য গ্রামের মেয়েরা একটি অনুষ্ঠান করে। তারা কুলা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যায়। মুখে বৃষ্টির গান গায় বা ছড়া কাটে। বাড়ির মেয়েরা কুলার উপর পানি ঢেলে দেয়। তারা বিশ্বাস করে এভাবে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামবে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থার কারনে এ রীতির প্রচলন বর্তমানে নেই বললেই চলে।

বায়ােস্কোপঃ বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া এক ঐতিহ্য বায়ােস্কোপ । রং-বেরঙরে কাপড় পরে হাতে ঝুনঝুনি বাজিয়ে গাঁয়ের মেঠোপথে এখন আর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় না বায়ােস্কোপ ওয়ালাদের। খঞ্জনি আর খালি গলায় গাওয়া গানের তালে তালে বাস্কের ভেতর বদলে যাওয়া ছবি দেখে এককালে গল্পের জগতে হারিয়ে যেত গ্রামবাংলার মানুষ। টেলিভিশনে শত শত চ্যানেলের ভিড়ে বায়ােস্কোপ এখন হারাতে বসেছে।

নৌকা বাইচঃ বাংলাদেশের লােকসংস্কৃতিতে শত শত বছরের ঐতিহ্য হিসেবে এখনাে টিকে আছে নৌকা বাইচ। সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে নদীনালা যখন পানিতে টইটুম্বুর থাকে সেসময়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচের সময় ঢােল ও করতালের সাথে সাথে মাঝি-মাল্লারা এক সুরে গান গেয়ে বৈঠা চালান।

গরুর গাড়ির দৌড়ঃ প্রচলিত লােকসংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযােগ্য আরেকটি  লােকসংস্কৃতি হল গরুর গাড়ির দৌড়। এটি বৃহত্তর যশাের অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় খেলা। ফসল তােলার পর কৃষকদের আনন্দ দিতে খালি মাঠে এ দৌড় প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর গরুর গাড়ি নিয়ে এ খেলায় অংশ  নেন মূলত কৃষকেরাই। রােমাঞ্চকর এই প্রতিযােগিতাকে ঘিরে গ্রামীণ মেলাও বসে।

গ্রামীণ লােকসংস্কৃতি আমার জীবনে যে ধরনের প্রভাব ফেলে

যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ যে সংস্কৃতি লালন করে আসছে সাধারণ অর্থে তাই লােকসংস্কৃতি। লােকসংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি সাধারণ মানুষ ও তার সমাজের সংস্কৃতি। লােকসংস্কৃতির জন্ম সাধারণ মানুষের মুখে মুখে, তাদের চিন্তায় ও কর্মে। হাজার বছর ধরে এই সংস্কৃতি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বাংলাদেশে আদিকাল থেকেই মানুষ লােকসংস্কৃতি লালন করছে। মানুষের মুখে মুখে চলা লােকসংস্কৃতির অনেক কিছুই সময়ের সাথে সাথে একটু একটু করে পরিবর্তন হয়েছে। লােকসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছে গ্রামীণ কৃষিজীবী সমাজের মধ্য থেকে । যেসব বিষয়ে লােকসংস্কৃতির পরিচয রয়েছে তাকে লােকসংস্কৃতির উপাদান বলা হয়। যেমন- তাঁত শিল্প, কাঁসা-শিল্প, মৃৎশিল্প, নকশি কাঁথা শিল্প, লােক কাহিনী বা কিচ্ছা, লােকগীতি, লােকচিকিৎসা, লােকসংগীত, প্রবাদ-প্রবচন, খনার বচন, ডাকের কথা, ছেলেভুলানাে ছড়া, ধাঁধা, লােকনাটক ইত্যাদি। কতক রীতি বা আচার এর উপর ভিত্তি করে লােকসংস্কৃতি গড়ে ওঠে। যেমন- হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পীর-ফকির, সাধু-সন্ন্যাসী বা মৌলভীপুরােহিতদের কাছ থেকে তাবিজ-কবজ, পানি পড়া ইত্যাদি রােগমুক্তির জন্য ব্যবহার করে। গ্রামীণ জীবনের আনন্দ-বেদনার কাব্য, জীবনবােধের প্রকাশ। তাঁদের পােশাক, খাবার, প্রার্থনা, পূজা-পার্বণ, ফসল, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বাসস্থান, বাহন, জীবন সংগ্রাম, দ্বন্দ্ব, বিরহ- এ সবই লােকসংস্কৃতিকে রূপ দেয়। লােকসংস্কৃতির মাধ্যমে তার সামগ্রিক প্রকাশ ঘটে। লােকগানে, কবিতায়, সাহিত্যে, উৎসবে, খেলাধুলাতেও প্রকাশ পায় । লােকসংস্কৃতি গ্রামীণ লােকসংস্কৃতি আমার জীবনে এই সব প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।

শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এসাইনমেন্ট সমাধান

একদিন সকালে তুমি দেখলে তােমার প্রতিবেশি, জব্বার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সে কেন কালাে খেলােয়াড় তুমি জিসা করলে জব্বার তােমার কি হয়েছে?
জব্বার বলে-গতকাল ব্যায়াম করতে যেয়ে ব্যাথা পেয়েছি। তুমি পাঠ্যবইয়ের আলােকে জেনেছ অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে ২০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

উত্তর – 

তারিখ : ২০ জুলাই, ২০২১

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক মতিঝিল মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

মতিঝিল,ঢাকা

বিষয়ঃ ‘অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়’ এই বিষয়ক প্রতিবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, ১৮ জুলাই,২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ যাহার স্মারক ম. ম.স.উ.বি.-০৩ / ২০২১ অনুসারে “অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়” এই বিষয়ক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।

অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়

স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই শরীরচর্চা করতে হবে। কিন্তু এই ব্যায়াম এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ব্যায়াম এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলাে সম্পর্কে নিম্নে আলােচনা করা হলাে:

শক্তি কমে যাওয়া : অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যায়াম করার ফলে শক্তি কমে যায়। যদি সাধারণ মাত্রায় শরীরচর্চা করতে না পাড়া যায় অথবা সবসময় শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে শরীর ক্লান্ত। আর তখন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া প্রয়ােজন।

কর্ম ক্ষমতা কমে যাওয়া : বিভিন্ন শরীরচর্চা যেমন- সাইকেল চালানাে, সাঁতার কাটা এবং দৌড়ানাে ইত্যাদি কাজে যদি নিজের কর্মক্ষমতার ঘাটতি দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে। পরিশ্রম খুব বেশি হলে তা মানুষের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। আর এজন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম না করে নিজের কর্মক্ষমতা অনুযায়ী ব্যায়াম
করতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া : প্রিভেন্টেটিভ মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, সপ্তাহে যদি সাড়ে সাত ঘন্টার চেয়ে বেশি সময় শরীরচর্চা করা হয় তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়া, হতাশা এবং মানসিকভাবে দুর্বল বােধ করতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম শরীরকে দ্বিধা, উদ্বেগ, রাগ এবং ‘মুড সুইং’য়ের মতাে সমস্যার মুখােমুখি করে।
তাই আমাদের মন ও দেহ সুস্থ রাখার জন্য পরিমিত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে।

ঘুম পরিপুর্ণ না হওয়া : পরিশ্রম করলে শরীর ঠিক থাকে এবং রাতে ভালাে ঘুম হয়। তবে অতিরিক্ত
পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা হলে সারা রাত খুব অস্থিরতার মধ্যে কাটে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। পর্যাপ্ত ঘুম মানুষের শরীর সুস্থ রাখে। তাই সুস্থ থাকার জন্য আমাদের পরিমিত ব্যায়াম করতে হবে এবং পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে
হবে।

ব্যাথার সৃষ্টি হওয়া : ব্যায়ামের পর পেশি পুনর্গঠনের জন্য সময় দেওয়া প্রয়ােজন। না দিলে শরীরে ব্যাথা হয় যা দৈনন্দিন কাজ কর্মে বাধা তৈরি করে। পাশাপাশি বাজে অনুভূতির সৃষ্টি হয়। সবসময় ফুরফুরে মেজাজে থাকার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম পরিহার করতে হবে।

প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হওয়া : শারীরিক পরিশ্রমের পরে যদি প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা ‘রাইবডােমায়ােলাইসিস’ অবস্থার লক্ষণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পেশির কোষ রক্তে মিশে যায়। ফলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই দেহের ক্ষতি করতে না চাইলে আমাদের অতিরিক্ত ব্যায়াম পরিহার করতে হবে।

হৃদরােগ হওয়া : জার্মান বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, যারা অতিরিক্ত ব্যায়াম করে তাদের হৃদরােগ এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হৃদযন্ত্র খুব বেশি চাপে থাকলে এর স্পন্দনের মাত্রা বেড়ে যায়। হৃদস্পন্দনের মাত্রা সাধারণের চেয়ে বেশি হলে বুঝতে হবে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হচ্ছে। তাই এসব মরণব্যাধি থেকে বাচতে অবশ্যই অতিরিক্ত ব্যায়াম পরিহার করতে হবে।

সংযােগস্থলের সমস্যা হওয়া : সপ্তাহে একাধিকবার অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে শরীরের সংযােগস্থলে আঘাতের সৃষ্টি হয়। ফলে জয়েন্টে ব্যাথা, পেশিতে ব্যাথা হতে পারে। তাই এই দুরারােগ্য ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে অবশ্যই অতিরিক্ত ব্যায়াম পরিহার করতে হবে।

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ব্যায়াম করা যেমন জরুরি তেমনি। অতিরি, ব্যায়াম করা আবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই একটি সুস্থ সুন্দর ও ভালাে জীবন যাপন করার জন্য আমাদের উচিত পরিমিত পরিমাণে ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম প্রত্যাহার করা।

প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২০ জুলাই,২০২১

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ

প্রতিবেদন প্রাপকের নাম ও ঠিকানাঃ

৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান

আমার বাড়ি’ কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কী কী আয়ােজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে? কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলােকে লিখ।বাংলা অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান

১। একটি প্রাণিকোষ ও একটি উদ্ভিদকোষ এর। চিহ্নিত চিত্র অংকন করে উপস্থাপন কর।
২। মানবদেহের কোন কোন অংগানু ঐচ্ছিক পেশি এবং অনৈচ্ছিক পেশি তার একটি তালিকা তৈরী কর এবং খাতায় লিপিবদ্ধ কর।
৩। প্রাণিদেহের যে কলা উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করতে পারে সেই কোষটির সচিত্র বর্ণনা কর।

বিজ্ঞান অংশের উত্তর দেখুন এখান থেকে

পরবর্তী সপ্তাহের বিষয়সমূহ

  • ১১ তম সপ্তাহ- ইংরেজী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
  • ১২ তম সপ্তাহ-  বিজ্ঞান এবং কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

বিশেষ সতর্কতা :  উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া । ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে ।শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনাএসাইন্টমেন্ট তৈরির জন্য যা আগে প্রস্তুত  রাখতে হবে এবং যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলােঃ-

  • A4 Size এর কাগজের খাতা।
  • খাতার Cover পৃষ্ঠায় বিদ্যালয়ের নাম, নিজের নাম, শ্রেণি, শাখা, রােল নম্বর, তারিখ, বিষয় ও নিজের স্বাক্ষর কলম দিয়ে সুন্দর করে লিখতে হবে।
  • প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা হবে এবং প্রতিটি বিষয়ের খাতা একই নিয়মে তৈরী করতে হবে।
  • খাতায় কোন ভাবে লাল কালির কলম কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
  • সব গুলাে খাতা একই Size অর্থাৎ A4 Size হতে হবে।
  • হাতের লেখা সুন্দর, পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
  • অন্য জনের থেকে কপি করে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করা যাবে না।
  • নিজের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করতে হবে। যেটাতে শিক্ষার্থীর শিখন ফল প্রতিফলিত হয়।
  • শিক্ষকের দেয়া নির্ধারিত তারিখ বা সময়ে লিখিত খাতা বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।

প্রিয় ভিজিটর, এখানে উপস্থাপিত সকল তথ্য উপাত্ত অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত । উল্লেখিত কোন তথ্যের ভুল যদি আপনার নিকট দৃশ্যমান হয় তবে অতিসত্ত্বর তা আমাদের ইমেইলের ([email protected]) মাধ্যমে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।

��তামত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button
error: কন্টেন্ট সংরক্ষিত !!