হতাশা থেকে মুক্তির ৭টি হাতিয়ার ।

মানবদেহ প্রায়ই বিভিন্ন অসুখ দ্বারা অাক্রান্ত হয়।অাবার প্রতিষেধক এর মাধ্যমে তার প্রতিকারও করা হয়।তবে এসবই হলো শারিরিক। তবে শারিরিক অসুস্থার বাইরেও আর এক অসুস্থতা আছে। তাহলো মানসিক অসুস্থতা । আর এই মানসিক অসুস্থতার প্রধান কারণ হলো হতাশা। হতাশা এমন একটা মানসিক রোগ যা আপনাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যেতে পারে। মানুষের এ হতাশার প্রধান কারণ হলো ব্যর্থতা,মানসিক চাপ।পরীক্ষায় ব্যর্থতা,প্রেমে ব্যর্থতা,পারিবারিক অশান্তি,বেকারত্ব এগুলো সবই হাতাশা অন্যতম কারণ। তবে একটা সত্য কথা হলো হতাশাগ্রস্থ মানুষ কখনো জীবনে উন্নতি করতে পারেনা, যদিনা তারা ওই হতাশা কাটিয়ে উঠতে না পারে। তাইতো অাজ হতাশাগ্রস্থদের জন্য কিছু স্পেশাল টিপস এর কথা বলব। যা অাপনার হতাশাকে কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে অাসতে অনেক সাহায্য করবে।
১।ভ্রমন করা
হতাশা বা মানসিক চাপ যেটাই হোক।তা থেকে বেরিয়ে অাসার প্রধান উপায় হলো কোথাও ভ্রমন করা।ভ্রমন করলে মন ফ্রেশ হয়।এতে মনটা সুস্থ হয়ে যায়।ফলে মানসিক চাপটা অনেক কমে যায় অার হতাশাও দুর হয় অনেকটা।
২।নেতিবাচক অালোচনা পরিত্যাগ
নেতিবাচক কথা বার্তা অাপনার মনকে খারাপ দিকে নিয়ে যাবে।অাপনার মানসিক শান্তুি নষ্ট করবে।ফলে অাপনার হতাশার পরিমাণটাও বাড়তে থাকবে।মনের শান্তিটাই সব থেকে বেশি জরুরী।তাই নেতিবাচক অালোচনা পরিত্যাগ করা অতি জরুরী।
৩।সামাজিকতা পালন করা
ঘরের কোণে বসে না থেকে সমাজের সকলের সাথে মিশলে,বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে মন ভালো থাকে।এতে সম্পর্কের সাথে মনেরও বিস্তার ঘটে।অার মানুষের সাথে মিশে তাদের মাতামত গ্রহণ করলে হতাশা দুর হয়।তাই অাপনার উচিৎ সামাজিক হওয়া।
৪।গান শোনা
গান শুনলে মন ভালো হয় এটা কারোরই অজানা নয়।সুতরাং হতাশা যখন অাপনাকে ভর করবে তখন অাপনার কিছু পছন্দের গান শুনুন।মুভিও দেখতে পারেন।অাপনার মনের ওপরের চাপটা সরে গিয়ে অনেকটা হালকা হবে।
৫।পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম অাপনার স্নায়ু চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।পর্যাপ্ত ঘুমের ফলের মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায় এবং চিন্তা ভাবনা পরিষ্কার হয়।মাথা ঠান্ডা হয়।ফলে যেকোনো সমস্যা সমাধানের উপায় খুজে পেতে সহজ হয়।
৬।”যদি” শব্দটা বাদ দেওয়া
যদি নামক শব্দটা অাপনাকে বার বার বিভ্রান্তিকর বা দোটানায় ফেলে দেবে।ফলে অাপনার মানসিক চাপটাও বাড়িয়ে দেবে।যা অাপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর।তাই অাপনাকে সবার অাগে এই “যদি” শব্দটাকে বাদ দিয়ে এক মতে অাসতে হবে।
৭।অন্যের মতামতের মূল্যায়ন করতে হবে
অাপনার নিজের নেওয়া সিদ্ধান্ত ঠিক নাও হতে পারে।অার অাপনার একার বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হবে।এই জন্য অাপনাকে অন্যদের মতামতের মূল্যায়ন করতে হবে।তাদের থেকে পরামর্শ নিতে হবে।এতে অাপনার চাপ অনেক কমে যাবে।
উপরের টিপসগুলো হয়ত অাপনার সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারবে না।কিন্তু অাপনার সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পথ দেখাতে পারবে।মনকে সুস্থ রাখুন।অাপনি ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ