![creative-question (সৃজনশীলে ভালো মার্ক তোলার কৌশল)](https://www.admissionwar.com/wp-content/uploads/2017/12/444.jpg)
সৃজনশীল পরীক্ষায় ভালো মার্কস তোলার কিছু শর্টকাট কৌশল
প্রিয় ছোট ভাই বোনেরা, কি খবর তোমাদের? পরীক্ষার তো অার বেশি দেরী নেই। খুব চিন্তিত নাকি? চিন্তিত হবে এটা স্বাভাবিক। তবে দুঃশ্চিন্তার কিন্তু কোনো কারণ নেই। অাজ যে বিষয়ের ওপর লিখব সেটা এস এস সি এবং এইচ এস সি উভয়দের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ।অাজ তোমাদের জন্য লিখব কিভাবে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করে বেশী বা মনের মতো মার্ক তোলা যায়। কারণ তোমাদের অনেকেরই অভিযোগ যে সৃজনশীল পরীক্ষায় ভালো মার্ক পাওয়া যায় না। অামি কিন্তু এটা মোটেও বিশ্বাস করি না। কারণ একটু কৌশল অবলম্বন করলেই অল্প লিখেই বেশি মার্ক তোলা যায়। তাছাড়া বেশি লেখার মতো সময়ও তোমার হাতে নেয়।
যাই হোক এখন মূল কথায় অাসি আমরা দেখব কীভাবে লিখলে সৃজনশীল পরীক্ষায় বেশি মার্ক তোলা যায় !
প্রথমে অামরা একটা সৃজনশীল পরীক্ষায় প্রশ্নের মানবণ্টন দেখে নেই।যদিও সকলের জানাই অাছে।
সৃজনশীলে ৪টি অংশ প্রশ্ন ভাগ করে নম্বরও ভাগ করা থাকে।
(ক=১+খ=২+গ=৩+ঘ = ৪) =মোট ১০
এখন অাসি উত্তরগুলো কিভাবে লিখবে হবে…….
★জ্ঞানমুলক
প্রথমেই “ক” নং প্রশ্নের উত্তর। এখানে কিছু বলার নেই। ১ মার্কের জ্ঞানমূলক উত্তর দিতে হবে। বইতে হুবহু উত্তর পাবে।
★অনুধাবন
এবার হলো “খ” নং প্রশ্ন। যেখান থেকে মুলত ভয়ের শুরু। তবে সত্য বলতে ভয়ের কিছুই নেই। “খ” নং এর উত্তর ২টা ভাগে বিভক্ত। জ্ঞান এবং অনুধাবন। প্রথমে ১ লাইনে জ্ঞানমুলক উত্তর দিতে হবে। অার পরে সর্বোচ্চ ৩/৪ লাইনে অনুধাবন অর্থাৎ ব্যাখ্যা দিতে হবে। যেমনঃ প্রশ্ন- “ও রকম মেয়েলি বিনয়” বলতে কি বোঝো? জ্ঞান:”ও রকম মেয়েলি বিনয়” বলতে বিনয় প্রদর্শন করতে গিয়ে দুর্বলতার প্রকাশ বোঝায়। এই টুকু উত্তর করলে তোমাকে ১ মার্ক দেবে।অার এর পর ৩/৪ লাইনের ভিতর বিস্তারিত লিখতে হবে। ব্যাস তোমাকে ২ মার্ক দিতে বাধ্য।
★প্রয়োগ
১+১+১=৩ এটাই হলো “গ” নং প্রশ্নের মানবন্টন।বুঝলেনা? আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি।”গ” নং এর ক্ষেত্রে উত্তরটা ৩ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। জ্ঞান+অনুধাবন+প্রয়োগ। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রশ্নের ধরণ এমন যে, উদ্দিপকের সাথে গল্পের কোন চরিত্রের মিল পাওয়া যায়। এসব প্রশ্নের উত্তরের প্রথমেই লিখতে হবে যে চরিত্রের মিল পাওয়া যায় তার নাম। তাহলে ১ মার্ক শিওর। এরপর ২/৩ লাইনে সেই চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য লিখতে হবে। তাহলে অনুধাবন এর ধাপও শেষ। আর শেষে ৭/৮ লাইনের ভিতর ওই ২টা চরিত্রে কি কি কারণে মিল পাওয়া যায় তার কারণ গুলো লিখতে হবে। ব্যস আর লাগবেনা। এইটুকুই যথেষ্ট।
★উচ্চতর দক্ষতা
সর্বশেষ “ঘ” নং প্রশ্নের উত্তর। যেখানে উত্তরটা দিতে হয় ৪টা ধাপে।জ্ঞান,অনুধাবন,প্রয়োগ,উচ্চতর দক্ষতা । “ঘ” এবং “গ” নং প্রশ্নের ধরণটা প্রায় একই রকম।২টা প্রশ্নই উদ্দীপক এবং প্রবন্ধের আলোকে উত্তর করতে হয়। প্রশ্নের ধরণ অনেকটা এরকম যে,উদ্দীপকের বক্তব্যের আলোকে ……. প্রবন্ধটি বিশ্লেষণ করো।
এক্ষেত্রে, প্রথমে উদ্দীপক এবং ঐ প্রবন্ধের মুল কথা এক কথায় লিখতে হবে। এরপর প্রবন্ধটি কিসের ভিত্তিতে লেখা তা ৩/৪ লাইনে লিখে ২য় ধাপ শেষ করতে হবে। ৩য় ধাপে উদ্দীপক এবং প্রবন্ধের মধ্যে সাদৃশ্য গুলো দেখাতে হবে। ৪/৫ লাইনের ভিতর হবে এটা। একটু ফাকা রেখে ৪/৫ লাইনের ভিতর উপসংহার লিখতে হবে। এভাবে যদি তুমি একটা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে পারো তাহলে ইনশাঅাল্লাহ তুমি ১০ এর ভিতর ৮ পেয়ে যাবে।
পরীক্ষার হলে যে ছয়টি কাজ কখনই করবেন না।
তুমি হয়ত ভাবতেছো যে ভিতরে অনেক কিছু না লিখলে স্যাররা মার্ক দেবে না। কিন্তু ভাইয়া সত্য হলো এটাই যে স্যাররা ভিতরে পড়ে না। ১ম ২/৩ লাইন পড়েই তোমার উত্তর বুঝে নিবে। বিশ্বাস করো অামি এই ভাবেই লিখছি। অার অামার সময় শেষ হওয়ার অন্তত ৫মিনিট অাগে কম্প্লিট হয়ে যেত। অার হ্যা একটা কথা সব সময় চেষ্টা করবে ১০০% উত্তর করার। তোমারা বেশির ভাগ সময় যেটা করো তাহলো,১ম একটা/দুইটা প্রশ্ন খুব ভালো করে লিখতে গিয়ে শেষের দিকের প্রশ্নগুলোর উত্তরের মান চরমভাবে খারাপ হয়ে যায়। যা তোমার মার্ক অনেক কমিয়ে দেবে। কিন্তু তুমি যদি ১ম থেকেই সবগুলো মোটামুটি লেভেল করে লেখো তাহলে সবগুলো প্রশ্নের মানই ঠিক থাকবে। অার অন্তত ৫মার্ক বেশি পাওয়া যায়। এটা পরীক্ষিত।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০টি কৌশল
যাই হোক অার কিছু বলছি না এখন।তোমাদের যেকোনো সমস্যায় অামাদের জানাতে পারো।অামাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাক্টিভ থাকলে পরবর্তী সকল পোষ্ট পেয়ে যাবে। ধন্যবাদ..