পরীক্ষার হলে যে ছয়টি কাজ কখনই করবেন না।

প্রায় সব শিক্ষার্থীর মধ্যেই পরীক্ষা ভীতি কাজ করে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আাগে থেকেই একটা দুশ্চিন্তা কাজ করতে থাকে। আর যখন আমরা পরীক্ষার হলে যাই তখন অন্যরকম একটা ভীতি কাজ করে। আর এজন্য প্রায়ই আমরা পরীক্ষায় কিছু ভুল কাজ করে ফেলি। আমরা আজকে আলোচনা করব যে কাজগুলো একদমই করা উচিত নয়।
প্রশ্নটা ঠিকভাবে না পড়া
আমরা অনেকেই একটা কাজ করি সেটা হল প্রশ্ন না পড়েই লেখা শুরু করে দেই। এটা কখনই উচিত না। কারন তুমি যদি সময় নিয়ে আগে প্রশ্নটা না পড় তাহলে উত্তরটা তুমি ঠিকভাবে লিখতে পারবে না। এমনও হতে পারে প্রশ্নে যেটা চাওয়া হয়েছে সেটা না লিখে অপ্রাসঙ্গিক উত্তর অনেকটা লিখে ফেলেছ। তাই প্রশ্নটা দেওয়ার পর সবটা প্রশ্নটা একনজর দেখবে। তারপর যেই প্রশ্নটা লিখবে তার উত্তর কি হবে সেটা একটু চিন্তা করে লেখা শুরু করবে।
প্রশ্নের মানবন্টন না দেখা
আমরা সবচেয়ে বেশি যে ভুলটা করি তা হল প্রশ্নের মানবন্টন টা না দেখেই লেখা শুরু করে দেই। এতে করে চার নাম্বারের প্রশ্নটা বড় হয়ে যায় আর ছয় নাম্বারেরটা ছোট হয়ে যায়। তাই সবসময় প্রশ্নের মানবন্টন অনুযায়ী লেখা উচিত।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ১০টি কৌশল
বেশি ফাকা ফাকা করে লেখা
আমরা অনেকেই একটা কাজ করি যেটা হল প্রতিটি লাইনের মাঝখানে অনেক ফাকা জায়গা রাখি। অনেকের ধারনা যত ফাকা করে লিখব ততই প্রশ্ন বড় হবে আর নাম্বার বেশি পাওয়া যাবে। এই ধারণা নিতান্তই ভুল ধারনা। তোমার লেখার গুনগত মান যতটুকু ঠিক ততটুকুই নাম্বার পাবে। একটা উদাহরন দেই : ধর এই লেখাটির মধ্যেই যদি প্রতিটি লাইনের মাঝেই যদি অনেক বেশি ফাকা থাকত তাহলে তুমি নিজেই বিরক্ত হতে তখন কিন্তু তুমি আর পড়তে না। ওই বিষয়টাও ঠিক এমনই। আর বেশি ফাকা করে লিখলে অতিরিক্ত পাতা নিতে আরো কিছু সময় নষ্ট হয়।
খাতা রিভাইজ না দেওয়া
আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই পরীক্ষার হল ত্যাগ করি। পরীক্ষা শেষে খাতাটা পুর্ণনিরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন খাতায় অনেক ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। রিভাইজ করার মাধ্যমে ছোটখাট ভুলগুলো দূর করা যায়। এমনও হতে পারে যে এক নম্বর প্রশ্নের উত্তরে তুমি দুই নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখে রেখে আসছ। এই ছোট ভুলটার কারনে হয়ত পুরো নাম্বারটাই কাটা যাবে। তাই সব সময় চেষ্টা করবে পরীক্ষা শেষে খাতাটা রিভাইজ করতে।
সময়ের গুরুত্ব না দেওয়া
অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় সময়ের দিকে গুরুত্ব দেয় না। এতে করে অনেক সময় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। উত্তর দিতে পারলেও কোন প্রশ্নের উত্তর অনেক বড় হয়ে যায় আর আর কোনটা সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তাই সবসময় সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এজন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হল প্রতিটি প্রশ্নের জন্য প্রথমেই সময়টা নির্ধারন করে ফেলা।
নকল করা
এটা একটা বদঅভ্যাস বললেই চলে। নকল বলতে যে শুধু ছোট কাগজ দেখে লেখা তা নয়। অন্যেরটা দেখে লেখাও এক ধরনের নকল। তবে সে যাই হোক এটা করা কখনই ঠিক নয়। একটা ছোট উদাহরণ দেই – মনে কর তুমি ছোট কাগজে একটা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে গেলে যার নাম্বার ১০। এখন কথা হচ্ছে তুমি যদি এটা দেখে লিখতে গিয়ে ধরা পর তাহলে পরীক্ষাটা বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি এটা না দেখে তুমি একটু চেষ্টা করে নিজ থেকে বানিয়ে লেখ দশ এর মধ্যে চার তো পাবে । এখন চিন্তা কর পরীক্ষা বাতিল করবা নাকি দশ এ চার পাবা।
আমরা হয়ত সবাই এই বিষয়গুলো জানি। তারপরও কিছু বিষয় না দেখলে মাথায় আাসে। তাই তোমাদের জানা বিষয়গুলোকে মনে করিয়ে দিলাম।
আর সবসময় চেষ্টা করবে পরীক্ষায় এই কাজগুলো না করতে। পরীক্ষায় শুধু লিখলেই হয় না কিছু ছোটখাট বিষয়ের দিকেও নজর দিতে হয়।
সবার প্রতি শুভ কামনা রইল।